Prashant Kishore : ‘ভারতের লড়াই হবে ২০২৪ সালে, এবং কোনও রাজ্যের ভোটে নয়, সাহেব তা জানেন’ বিধানসভা নির্বাচনের সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বসিত নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করলেন প্রশান্ত কিশোর
বাংলার জনরব ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর চার রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। এই ফলে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত বিজেপির নেতা কর্মীরা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত বলেছেন উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের ফল ২০২৪ র লোকসভা নির্বাচনের দিশা দিয়ে দিল। কিন্তু বাস্তবে তা নয়, আমরা জানি ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতীর যথেষ্ট সাংগঠনিক শক্তি ছিল, একইসঙ্গে সংগঠনের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল কংগ্রেসও। তার পরেও ২০১৪ র লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ভালো ফল করেছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। তাই উত্তর প্রদেশ জিতলেই লোকসভা নির্বাচন জিতে যাওয়া সহজ হয় এটা বাস্তবে অনেকটাই কঠিন। আর এই কঠিন কথাটাকে খুব সহজ করে বলেছেন রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
তিনি আজ শুক্রবার টুইটারে লিখেছেন, ‘ভারতের লড়াই হবে ২০২৪ সালে, এবং কোনও রাজ্যের ভোটে নয়। সাহেব তা জানেন। তাই সুচতুর ভাবে বিরোধীদের উপর মনস্তাত্ত্বিক প্রাধান্য বিস্তারের জন্য রাজ্য বিধানসভা ভোটের ফল ঘিরে উন্মাদনা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই মিথ্যা ব্যাখ্যার শরিক হবেন না।’
Battle for India will be fought and decided in 2024 & not in any state #elections
Saheb knows this! Hence this clever attempt to create frenzy around state results to establish a decisive psychological advantage over opposition.
Don’t fall or be part of this false narrative.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) March 11, 2022
পিকে এ ক্ষেত্রে মোদীকেই ‘সাহেব’ বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বার্তা দিতে চেয়েছেন— ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে পুরোপুরি ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে। উত্তরপ্রদেশ বা অন্য কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সঙ্গে ফলের প্রভাব তার উপর পড়বে না।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোদী বৃহস্পতিবার চার রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়া) বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র জয়ের পরেই ২০২৪ ভোটের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের ফল ঠিক করে দিল ২০২৪ সালে ফের বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে চলেছে।’’ তার পরেই পিকে-র এই টুইট-মন্তব্য।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পিকে-র সঙ্গে তৃণমূলের ‘দূরত্ব’ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু গত মঙ্গলবার তৃণমূলের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই মঞ্চে দেখা গিয়েছে আইপ্যাকের প্রাক্তন কর্ণধারকে।
এদিকে শোনা যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরকে সামনে রেখে দেশের বিরোধী দলগুলি মোদি বিরোধী জোট তৈরি করার কাজে নেমে পড়েছে। একই সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরকে রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করতেও বিরোধীরা পরামর্শ দিয়েছেন। কিভাবে এখন থেকে প্রচারে নামলে মোদি বিরোধী জোট মানুষের সামনে সাফল্য পাবে, তার প্ল্যান পরিকল্পনা তৈরি করে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর বলে জানা গেছে।