পঞ্চম দফা নির্বাচনে, একই ব্যক্তি পর পর আটবার পদ্ম ফুলের বোতাম টিপলেন ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেফতার উত্তর প্রদেশের ওই যুবক!
বাংলার জনরব ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কে যে হাস্যকর করে তুলেছে তা নিয়ে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করে থাকে, আর বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন কবিতা আওড়াতে থাকেন। সেই কবিতার ভাষাটা এরকম যে যখন মানুষ পারেনা তখন অজুহাত খুঁজতে থাকে। কিন্তু বাস্তবে দেশের নির্বাচন কমিশন কে সাধারন মানুষের কাছে নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে বদ্ধপরিকর। যতই সাংবাদিক বৈঠকে বসে বড় বড় কথা বলুক না কেন নির্বাচন কমিশনার কাজের কাজ তিনি কিছুই করেন না। প্রমাণ মিলল পঞ্চম দফার নির্বাচনের উত্তরপ্রদেশে। একজন ভোটার ইভিএমে একবার নয় দুবার নয় তিনবার নয় আট বার ভোট দিয়ে গেলেন এবং মোবাইলের ছবি তুললে এসব দেখেও নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ রইল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবকের ভোট দেওয়ার ছবি ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন।কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টির নেতারা একযোগে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তার পর যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, ইভিএমে পর পর আট বার ভোট দিচ্ছেন তিনি। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মুকেশ রাজপুত। তাঁর নামের পাশেই ভোট দিয়েছেন তিনি। নিজেই এই কীর্তির ভিডিয়ো তুলেছেন মোবাইলে। যা ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়া গাঁও থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। প্রতীত ত্রিপাঠী নামে এক জন অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও ভিডিয়ো নিয়ে পদক্ষেপ করেছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, ভাইরাল ভিডিয়োটি তাঁদের চোখে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দিষ্ট বুথে কমিশনের যে আধিকারিকেরা কর্তব্যরত ছিলেন, তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। এ ছাড়া, কংগ্রেসের একাধিক নেতা নির্বাচন কমিশনকে জুড়ে দিয়ে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে।
এই একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার ফলে নির্বাচন কমিশন হয়তো নড়েচড়ে বসেছে এরকম কত ঘটনা উত্তরপ্রদেশে ঘুরছে তার কোন ইয়াত্তা নেই বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আর এতে আর যাই হোক দেশের গণতন্ত্র যে বিপন্ন হচ্ছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমরা বহু আগে থেকেই বলে আসছি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার দায় এবং দায়িত্ব সবটাই নির্বাচন কমিশনের। এমনকি দেশের শীর্ষ আদালত এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনকেই একই কথা বলেছে।