তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ২৪ ঘন্টার জন্য সেন্সার করল নির্বাচন কমিশন
বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে প্রকাশ্য সমাবেশে কুকথা বলার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিজিতের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রকাশ্য সভায় মমতাকে কুকথার জন্য অভিজিৎকে গত ১৭ মে নোটিস পাঠিয়েছিল কমিশন। জানিয়েছিল, বিজেপি প্রার্থী জবাব না দিলে এক তরফা পদক্ষেপ করা হবে। ২০ মে, সোমবার কমিশনকে জবাব দিয়েছিলেন অভিজিৎ। সেই জবাব খতিয়ে দেখেছে কমিশন। সূত্রের খবর, জবাব পড়ার পরেও তাদের মনে হয়েছে, ‘কুরুচিকর ব্যক্তিগত’ আক্রমণ করেছেন অভিজিৎ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘অশালীন’ মন্তব্য করার অভিযোগ এনে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অশালীন’ ভাষায় আক্রমণ করে ‘নিম্নরুচি’র পরিচয় দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ফৌজদারি মামলা শুরু করতে হবে কমিশনকে। বিজেপি প্রার্থীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোনও জনসভা, রোড-শোতে বা একান্ত সাক্ষাৎকারে যোগদানে তাঁকে বিরত রাখতে হবে। অভিজিৎ বা অন্য কোনও বিজেপি নেতা যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ব্যক্তিগত এবং অসম্মানজনক মন্তব্য না করেন তা-ও নিশ্চিত করার আবেদন কমিশনে জানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের তরফে কমিশনের কাছে অভিজিতের নামে অভিযোগ জানিয়ে চিঠিটি পাঠিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত বুধবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে একটি সভা ছিল তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে তিনি বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও?’’ সে কথা উল্লেখ করেই অভিজিতের কড়া নিন্দা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। হলদিয়ার ওই সভার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। সেই ভিডিয়োতে অভিজিৎকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তৃণমূল বলছে, রেখা পাত্রকে কেনা হয়েছিল ২০০০ টাকায়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? তোমার হাতে কেউ ৮ লক্ষ টাকা গুঁজে দিলে চাকরি হয়, কেউ ১০ লক্ষ টাকা দিলে রেশন হাওয়া হয়ে যায়! কেন তোমার দাম ১০ লক্ষ টাকা? তুমি কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে মেকআপ করাও বলে? আর রেখা পাত্র গরিব মানুষ, লোকের বাড়িতে কাজ করে, আমাদের প্রার্থী। সে জন্য তাঁকে ২০০০ টাকায় কেনা যায়?’’