কলকাতা 

প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা প্রতিমাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ মমতা সরকারের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সামাজিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল । এবার থেকে বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যেই প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন । এতদিন  এই ভাতা পেতে দু-তিন মাস লেগে যেত । নবান্ন নির্দেশ দিয়েছে প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলি সংশ্লিষ্ট জেরা প্রশাসনকে টাকা জমা দেওয়া রিপোর্ট পাঠাবে । আর জেলা প্রশাসন রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর এবং নারী ও সমাজকল্যাণ দপ্তরে ৬ তারিখের মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা পড়ে যাওয়ার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে। এর ফলে গোটা রাজ্যে কয়েক লক্ষ বার্ধক্য, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা-প্রাপক মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই টাকা পেয়ে যাবেন।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠিয়ে দিলেও তা ব্লকস্তরে বা ব্যাঙ্কে সময়মতো জমা পড়ত না। তার ফলে গ্রাহকরা দু’ থেকে তিন মাস অন্তর এই প্রকল্পের টাকা পেতেন। এতে তাঁরা মাস চালাতে চরম সমস্যায় পড়তেন। কিন্তু, এখন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।
গোটা দেশে বার্ধক্য, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতার প্রচলন আছে। যদিও বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে দু’টি ধাপ চালু আছে। ৬০ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত বয়সিরা মাসে পান ৬০০ টাকা ও ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা, তাঁরা পান মাসে ৮০০ টাকা। একইভাবে ৫০ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধী হলে তিনিও ভাতা পান।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার মাস পয়লার মধ্যে এই প্রকল্পের টাকা জেলা প্রশাসনকে বরাদ্দ করবে। সেইমতো জেলা প্রশাসন ব্লকস্তরে তা দিয়ে দেবে। ৩ তারিখের মধ্যে গ্রাহকদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ তালিকা ব্যাঙ্কে পাঠাতে হবে। ব্যাঙ্ক যে ওই টাকা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা করেছে, তা ৫ তারিখের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট করতে হবে। কোথাও তা না হলে, কেন হয়নি তার কারণও দর্শাতে হবে।
যদিও ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের অনেকেই বলেছেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ চলে এলেই তা ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, অনেক সময় ব্যাঙ্ক এই টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা করে না। সেই কারণেই এবার ব্যাঙ্কের উপর পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ