কিছু মহারাজ ডাইরেক্ট পলিটিক্স করছেন এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলার জনরব ডেস্ক : আরামবাগের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এবার রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রমকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শনিবার আরামবাগের কামার পুকুরে তৃণমূল প্রার্থী মিতালীদের সমর্থনে জনসভা করেন। সেই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সব সজ্জন সমান হয় না। সব সাধুও নয়। আমাদের মধ্যেই কি সবাই সমান আছেন? আমি আইডেনটিফাই করেছি বলেই বলছি।”
এরপরই মমতা বলেন, “ভারত সেবাশ্রমকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় ওরা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। তিনি ওখানে বলছেন- তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেব না। সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না, কারণ তিনি ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করে দিচ্ছেন। আমি আইডেনটিফাই করেছি, কে কে করেছেন।”
বাম জমানার প্রসঙ্গ টেনে মমতা মনে করিয়েছেন, “আসানসোলে একটা রামকৃষ্ণমিশন আছে। ওদের আমি কী হেল্প করিনি? সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলাম। আপনাদের অস্তিত্ব নিয়ে, স্বাধীকার নিয়ে আমি কিন্তু পুরো সমর্থন দিয়েছিলাম। মা, বোনেরা আসত, তরকারি কেটে দিত। সিপিএম কিন্তু আপনাদের কাজ করতে দিত না। নদিয়াতে ইস্কনকেও ৭০০ একর জমি দিয়েছি।”
মমতার কথায়, “আমিও জানি একটা, দুটো থাকবে। দিল্লি থেকে ওদের কাছে নির্দেশ আসে, বলে একে ভোট দিতে বলো। কিন্তু সাধু, সন্তরা কেন একাজ করবেন? ওদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। ওদের যারা দীক্ষা নেন, তাঁরা ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন তো ভোট দেয় না। তাহলে অন্যকে কেন ভোট দিতে বলবে?”
মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “কেউ কেউ ভায়োলেট করছে, সবাই নয়। কিন্তু মনে রাখবেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না, যদি এই মেয়েটা না বেঁচে থাকত।”
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে এ ধরনের কথাবার্তা কতটা শোভনীয় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি যখন বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের ইমামদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাদের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করছেন ঠিক তখনই নিশ্চিতভাবে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি রামকৃষ্ণ মিশন কিংবা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সঙ্গে কথা বললে আপত্তি কোথায়? আর এই প্রচ্ছন্ন হুমকিতে আসলে ক্ষতি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে!