জেলা 

১২ বছর পর শাসনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সিপিএম, ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী যোগ দিল লাল শিবিরে, ওরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত তাই বহিষ্কৃত হয়েছে বলছে তৃণমূল

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বারাসাত দু নম্বর ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরল। বুথ সভাপতি সহ তৃণমূলের প্রায় ৪০০ জন সক্রিয় কর্মী গতকাল শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছে। প্রায় ১২ বছর পর বারাসাত দু’নম্বর ব্লক এলাকায় সিপিএম দল আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এক সময় এই শাসন এলাকা কে কেন্দ্র করে বহু অশান্তির খবর আমরা শুনেছি বামফ্রন্টের আমলে। শাসনের নেতা মজিদ মাস্টারের দাপটে সমগ্র এলাকাতে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। ২০১১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে কার্যত সিপিএম দল এই এলাকায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।

আর দেখা গেল ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৪০০ জন তৃণমূল সক্রিয় কর্মী সিপিএমে যোগ দিতে এর ফলে এই এলাকায় সিপিএম আবার যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অবশ্য তৃণমূল নেতারা বলছেন যারা দল ছেড়ে সিপিএমে গেছেন তারা সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, মাটি, জমি ও ভেড়ি দখলের লড়াইয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া তৃণমূলের লোকজনই শাসনে সিপিএমে যোগদান করেছেন।

Advertisement

২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে সিপিএম তাদের শক্ত ঘাঁটি শাসনে পায়ের নীচের জমি হারিয়েছিল। বারাসত-২ ব্লকের শাসনে এখনও সিপিএমের সিংহভাগ দলীয় কার্যালয় তালাবন্ধ, নয়তো বেদখল। কিন্তু এলাকার ভেড়ি, জমি ও মাটি কাটার কারবারের দখল নিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের মধ্যেই ধীরে ধীরে বিস্তর গোলমাল গত ১১-১২ বছর ধরে চলছে বলে খবর। সেখানেই বিক্ষুব্ধেরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে এ দিন সিপিএমে যোগ দেন। খোলা হয় দলীয় কার্যালয়। আমিনপুরেও দলীয় কার্যালয় দ্রুত খোলা হবে বলে সূত্রের খবর।

বারাসত-২ ব্লকের রমাগাছি এলাকার বুথ সভাপতি নজরুল ইসলাম, মদনপুরের তৃণমূল নেতা সহিদুল ইসলাম, আবদুল সাত্তার-সহ বেশ কিছু নেতার উপরে নির্ভর করে শাসনে শক্তি বৃদ্ধি করেছিল তৃণমূল। ওই দুই নেতা-সহ ৪০০ কর্মী-সমর্থককে যোগদান করানো হয়েছে সিপিএমে।

আবদুল সাত্তারের দাবি, ‘‘তৃণমূলে নেতাদের কথা মতো টাকা দিতে না পারায় সিপিএমে যোগ দিয়েছি।’’ সহিদুল ইসলামের দাবি, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়ে সিপিএমে এসেছি।’’ তৃণমূল থেকে আসা বুথ সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘দুর্নীতি না করায় দলে কোণঠাসা ছিলাম। সিপিএমে এসে এ বার তৃণমূলকে হারাবই।’’

শাসকদলের লোকজনকে নিয়ে দল ভারী করায় অন্যায় দেখছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ৪০০ জন এসেছেন।’’ সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খানের কথায়, ‘‘বারাসত-২ ব্লকের দায়িত্ব পেয়ে তৃণমূলের ঘর ভেঙেছি। এ বার এলাকা তৃণমূলমুক্ত করব।’’ বারাসত-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের অনেককে দল বহিষ্কার করেছে। ওঁদের যাওয়ায় পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ