SSC: এস এস সি গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগের মামলায় সিবিআই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ
বাংলার জনরব ডেস্ক: এসএসসির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের এবং ৫৭৩ জন নিয়োগকৃত কর্মীকে বরখাস্ত করার যে নির্দেশ দিয়েছিল তার উপর স্থগিতাদেশ দিলো ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে গ্রুপ সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আজ কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছেন তার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের স্বার্থে গঠন করা হয়েছিল অনুসন্ধান কমিটি। ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার হাই কোর্টে ওই অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট পেশ করার ছিল। কিন্তু এদিন কমিটির তরফে কেউ যাননি বলেই খবর। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধান কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। পাশাপাশি, গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলার তদন্তের ভার ফের দেওয়া হয় সিবিআইকেই।
কয়েকঘণ্টার মধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এরপরই সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপ্রক্রিয়ায় ২ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২ সপ্তাহ এই মামলার শুনানি হবে না সিঙ্গল বেঞ্চে। শুধু তাই নয়, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ও ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের উপরও স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের।
উল্লেখ্য, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিষয়ে আগেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মধ্যশিক্ষাপর্ষদ এবং রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ৭ ফেব্রুয়ারি ও পরবর্তীতে ১৫ তারিখ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি জানিয়ে কমিটি আরও ৪ মাস সময় চায়। আদালত ৪ মাস নয়, ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার মাঝেই ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ।