কলকাতা 

Koustav Bagchi : “মমতা ব্যানার্জিকে যতদিন না সরাচ্ছি ততদিন মাথার চুল বাড়তে দেব না। এবার ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাতের ঘুম কেড়ে নেব” জামিন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : সকালে গ্রেফতার দুপুরে জামিন পাওয়ার পর মমতার সরকারকে উৎখাত করার জন্য শপথ নিলেন কৌস্তভ বাগচি । রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন চলছে বলে অভিযোগ করে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে বসে নেড়া হলেন তিনি। কংগ্রেস নেতার চ্যালেঞ্জ, “মমতা ব্যানার্জিকে যতদিন না সরাচ্ছি ততদিন মাথার চুল বাড়তে দেব না। এবার ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাতের ঘুম কেড়ে নেব।”

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে কৌস্তভ বাগচিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারির সাড়ে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। আদালতের বাইরে বেরিয়েই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই কংগ্রেস নেতা বলেন,”রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। এই শাসনকে উৎখাত করব। যতদিন পর্যন্ত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত করব, ততদিন আমার চুল বাড়াব না।” এরপর আদালতের সামনেই মাথা কামিয়ে ফেলেন তিনি।

Advertisement

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রোদ্দুর রায়ের সঙ্গে কৌস্তভের তুলনা টেনেছিলেন মহিলা তৃণমূলের সভাপতি শশী পাঁজা। একইসঙ্গে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন। এই মন্তব্যের পালটা কৌস্তভের দাবি, আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চান। তারপর আমি কী করব ভেবে দেখব।” সবমিলিয়ে এদিনের গ্রেফতারির পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করার ডাক দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির সাড়ে আট ঘণ্টার মধ্যে জামিন পান কৌস্তভ বাগচি। ১ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর হয় জামিন। তবে প্রতিদিন কৌস্তভকে থানায় হাজিরা দিতে হবে। আগামী ৫ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে হবে কংগ্রেস নেতাকে। কৌস্তভকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁদের আরজি খারিজ করে জামিন মঞ্জুর করল আদালত। পরবর্তী শুনানি আগামিকাল।

কার্যত কলকাতা পুলিশের জামিন অযোগ্য ধারাকে নাকচ করে দিলেন কলকাতার দায়রা আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এদিন কলকাতা পুলিশ কৌস্তভকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়েছিল কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেনি। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের এই সিদ্ধান্তে এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ খুশি হয়েছে। তারা মনে করছে আদালত যদি সুবিচারের ডালি নিয়ে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ান তাহলে এই রাজ্যে পুলিশি অত্যাচার অনেকটাই কমবে।

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ