কলকাতা 

অভিযোগকারীকেই ‘খুনের’ ছক কষেছিল ভূয়ো আইপিএস, তদন্তে পুলিশ

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : ভূয়ো আইপিএস রাজর্ষি ভট্টাচার্য শুধু প্রতারণা করেননি, তাঁর এই কারবার ধরে ফেলার কারণে একজন ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে । এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। ডিজিটাল আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, জাকির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই ভূয়ো আইপিএস । জাকিরের অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজর্ষিকে গ্রেফতার করা হয়েছে । জানা গেছে, ওই ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের কাছে দু লাখ টাকা দাবি করেছিলেন ভূয়ো আইপিএস রাজর্ষি ভট্টাচার্য।

এই হুমকি পাওয়ার পরেই তিনি খোঁজ-খবর শুরু করে । এদিক জাকির পার্কস্ট্রিট থানায় অভিযোগ করেন । আর এফআইআরকে ঘিরে চলে তদন্ত । এরই মাঝে ভূয়ো আইপিএস রাজর্ষি ভট্টাচার্য পার্ক স্ট্রিট থানার এক এএসআই ও কনস্টেবলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে । এই দুজনের কাছে নিজেকে আইপিএস বলে দাবি করেন তিনি ।  ওই দুই পুলিশকর্মী রাজর্ষিকে আসল আইপিএস অফিসার বলেই ধরে নিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগে নিজের কাজ হাসিল করতে এক ব্যক্তির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে অভিযুক্ত। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এএসআই এবং কনস্টেবলের সাহায্যও চেয়েছিল সে।

Advertisement

তদন্তে পুলিশ আরও জেনেছে, রাজর্ষির এক বিশেষ পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন ওই ব্যক্তি। যা রাজর্ষির পছন্দ ছিল না। সূত্রের খবর, যোগাযোগ বন্ধ করার জন্য ওই ব্যক্তিকে একাধিক বার হুমকিও দিয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু তার পরেও যোগাযোগ রেখে চলায় ‘পথের কাঁটা’ সরাতে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করে ওই ব্যক্তিকে খুনের পরিকল্পনা করে ভুয়ো আইপিএস। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ভাড়াটে খুনির খোঁজ পেতে একাধিক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রাজর্ষি। তার সেই কাজে ওই দুই পুলিশকর্মীর ভূমিকা ছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই ওই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে লালবাজার।

অবাক কান্ড এই যে কলকাতা মতো শহরে ভূয়ো আইপিএস সেজে প্রতারণা করছেন, অথচ সরকারের প্রশাসনের নজরে নেই বিষয়টি । তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কেন এই ছেলেখেলা চলছে? এটা আমাদেরকে ভাবতে হবে ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ