কলকাতা 

২০২৪ এ কংগ্রেস তৃণমূল জোটের সম্ভাবনা প্রবল! জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে স্পষ্ট ইঙ্গিত

শেয়ার করুন

সেখ ইবাদুল ইসলাম : বাংলার জনরব বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বসতে হয় তাহলে অবশ্যই কংগ্রেসের সঙ্গে তাকে আঁতাত করতে হবে। আমাদের এই প্রস্তাব আমাদের এই রাজনৈতিক ব্যাখ্যা অনেক মানুষের পছন্দ হয়নি তারা নানা রকম মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু আমরা যা বলেছিলাম আজ থেকে দুই সপ্তাহ আগে, সেই কথাতেই সিলমোহর দিল রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস।

শনিবার দলের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে এ নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হল তৃণমূলের তরফে। যেখানে কংগ্রেসের কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেও বিজেপিকে সরাতে যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের হাত ধরতে আগ্রহী রাজ্যের শাসক দল, তা নিয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রাখল।

Advertisement

আর মাত্র দু’দিন আগেই সুখবর পত্রিকায় আমার একটি উপ সম্পাদকীয় প্রকাশ হয়েছে সেই উপসম্পাদকীয়তে আমি স্পষ্ট বলেছি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় নেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন না। কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে কিন্তু একটা কথা খুব স্পষ্ট যে একমাত্র সোনিয়া গান্ধীর সেই উদারতা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মোদি বিরোধী মুখ করে পড়ে যাওয়ার মতন সাহস দেখাতে পারবেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় নেত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে অগ্রাধিকার পাবে আর কোন কোন বিষয়ে তিনি ব্যাকফুটে যেতে পারেন তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ২২ শে আগস্ট বাংলার জনরব ইউটিউব চ্যানেলে।

 

কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আরও জোড়াল হয়ে ওঠে জাতীয় স্তরে জোটের সমীকরণ। এদিনের সম্পাদকীয়তে সেই বার্তাই যেন আরও স্পষ্ট হল। তবে তৃণমূল খুব ভালই জানে, বিজেপিকে আসনচ্যুত করতে হলে শুধু ঐক্যবদ্ধ হওয়াই যথেষ্ট নয়। জোটকারিগরির প্রযুক্তি বদলে ভিত মজবুত করারও অত্যন্ত জরুরি। এদিন তাই লেখা হয়, “আমরা দেশের স্বার্থে অ-বিজেপি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির ঐক্যের পক্ষে। আমরা ঐক্য চাই বলেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বাড়ি গিয়ে বৈঠক করেছিলেন। রাহুল গান্ধীও ছিলেন সেখানে। সংসদের ভিতরে-বাইরে আমাদের বিজেপি বিরোধী ভূমিকা প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু আমরা চাই একটা নির্দিষ্ট নীতি বা পদ্ধতিতে ঐক্য হোক। আজ হঠাৎ মনে হল, একটা ফোনে বলে দিলাম আমরা মিছিল করছি, চলে আসুন, এটা তৃণমূলের ক্ষেত্রে চলবে না।”

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ