কলকাতা 

নিরব ঘাতক করোনা : আক্রান্ত হওয়ার পরে পরিবারের লোকেদের চিন্তা পারছে না নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : করোনা নিরব ঘাতক হয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে কখন তা বুঝে উঠতেই পারছে না সাধারণ মানুষ । এমনকি পরীক্ষা করার পরও রেজাল্ট আসছে নেগেটিভ । কিন্ত রক্তে প্রবেশ করেছে করোনা । যার ফলে কিছুদিন পরেই তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে ।এরকম একটি  ঘটনা  নজরে এসেছে শহর কলকাতাতেই । পার্ক সার্কাসের ডন বস্কো স্কুলের ছাত্র ব্রতীন দাশগুপ্ত । নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে , বয়স মাত্র ১৪ বছর । এর শরীরে করোনা এমনভাবে বাসা বেধেছিল যে ভাল হয়ে যাওয়ার পরও পরিবারের লোকেদের চিন্তা পারত না । ভুল বকত । একাধিক অঙ্গ কাজ করছিল না ঠিকমতো। এদিকে ধুম জ্বর। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, করোনা RT-PCR টেস্ট করায় হাসপাতাল। সব নেগেটিভ। অবাক বিষয়। এদিকে রক্তে রয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি! অর্থাৎ কোনও একসময় করোনা হয়েছিল। উপসর্গ না থাকায় বুঝতে পারেননি বাড়ির লোকেরা। কিন্তু সেই করোনাই ডেকে এনেছে এমআইএসসি।
বা মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিন্ড্রোম ইন চিল্ড্রেন। এই মারণ অসুখ থেকেই তাকে ফিরিয়ে আনল কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতাল। আইভিআইজি ইঞ্জেকশন আর স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিয়ে বাচ্চাটিকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে অ্যাপোলো হাসপাতাল।আপাতত সে সুস্থ। হাসপাতালে আনার সময় কী ছিল উপসর্গ? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অসহ্য ক্লান্তি, তার সঙ্গে সারা গায়ে র‌্যাশ। জ্বর ছিল ১০৩ ডিগ্রির আশপাশে। ভয়ংকরভাবে কমে গিয়েছিল প্লেটলেট। চিকিৎসকরা বলছেন এটি থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার লক্ষণ।

“আচমকা কী এমন হল যে শরীরের একাধিক অঙ্গ কাজ করছে না?” ইনটেনসিভ কেয়ার কনসালটেন্ট ডা. কৌস্তভ চৌধুরী জানিয়েছেন, সন্দেহ হওয়ায় বাচ্চাটির রক্তে আইজিজি টেস্ট করিয়ে দেখা যায় তা পজিটিভ। অর্থাৎ কিশোরের রক্তে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে। এর মানে কোনও এক সময় তার করোনা হয়েছিল। কিন্তু কোনও উপসর্গ না থাকায় পরিবারের লোক বুঝতেই পারেননি। কিন্তু সেই করোনা শরীরে ডেকে এনেছে ভয়ংকর অসুখ। শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, “আমি জানতামই না ছেলে কোনও সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। কোনওদিন সামান্য কোনও উপসর্গও দেখা যায়নি। কিন্তু উপসর্গ না থাকলেও করোনা যে শিশুদের ক্ষেত্রে কত মারাত্মক হতে পারে তা টের পেলাম।” ( সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন)

Advertisement

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ