জেলা 

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা সহ একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে খুন, ছোট মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, ঘটনার নৃশংসতায় রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে খুন করা হলো। নৃশংসই হামলাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচিতে। আজ শুক্রবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচির পশ্চিমপাড়ায়। এদিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা তার স্বামী এবং তার বড় মেয়েকে কুপিয়ে খুন করা হয় গুরুতর জখম অবস্থায় ছোট মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অর্থাৎ বিষয়টি পরিষ্কার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের সকলকেই এই খুনে টার্গেট করা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে ছোট মেয়েটি গুরুতর জখম হয়ে বেঁচে গেলেও বাবা-মা ও বড় মেয়ে তিনজনই মারা গেছে। ঘটনার বীভৎসতায় সমগ্র বাংলা জুড়ে চাঞ্চল্য পড়েছে।

এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, পঞ্চায়েত সদস্যার ছোট মেয়ের প্রেমঘটিত সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড।

Advertisement

মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, ‘‘প্রধান অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ রায় এবং তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর রাতে চিৎকার শুনে পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মণের বাড়িতে ছুটে যান পড়শিরা। গিয়ে দেখেন, নীলিমা, তাঁর স্বামী বিমলকুমার বর্মণ (৬৮) এবং তাঁদের বড় মেয়ে রুনা বর্মণ (২৪) রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নীলিমা ও তাঁর স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে বড় মেয়েকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরও মৃত্যু হয়। ছোট মেয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হাসপাতাল সূত্রে খবর ছোট মেয়ের অবস্থাও আশংকা জনক। একটি পরিবারকে নিশানা করে যেভাবে খুন করা হলো তার নজির খুব বেশি নেই।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ