সন্দেশখালি যাওয়ার পথে দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে ভোজের হাটে আটকে দিল রাজ্য পুলিশ
বাংলার জনরব ডেস্ক : সন্দেশখালির ঘটনা সরজমিনে তদন্ত করার জন্য দিল্লি থেকে এসেছে এক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। গতকাল রাতে ধর্মতলার এক পাঁচতারা হোটেলে এই টিমের সদস্যরা ছিলেন আজ রবিবার সকালে তাঁরা সন্দেশখালির দিকে রওনা দিলে ভোজেরহাটের কাছে এই টিমকে আটকে দেয় রাজ্য পুলিশ।রাস্তায় বসে বিক্ষোভ ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় তাঁদের। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন ওই প্রতিনিধি দলের।
ওই ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। ধর্মতলার একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলের দাবি, পুলিশের তরফে রবিবার সকালে তাঁদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই আইন মোতাবেক তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। চিঠি হাতে পাওয়ার পর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা স্পষ্ট জানান, তাঁরা গ্রামে যাবেন। যে এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে তাঁরা দল বেঁধে যাবেন না। তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র ২ জন ওই গ্রামে ঢুকবেন।
এর পর ধর্মতলার হোটেল থেকে বেরন তাঁরা। সড়কপথে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। তবে সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে ভোজেরহাটেই তাঁদের গাড়িকে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। জানানো হয়, বসিরহাটের পুলিশ সুপারই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই আটকাতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী পুলিশ ওই প্রতিনিধি দলের ৬ সদস্যকে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কোন সত্যি আড়াল করতে কাউকে সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্ন করেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এর পর ভোজেরহাটে পথে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। প্রথমে রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান পুলিশকর্মীরা। যদিও পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের।