জেলা 

রাস্তায় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে ঘুরে বেড়াতে দেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি! আমি আগে বিজেপি করতাম ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে আনা হয়েছে, আমি এখন এদের সঙ্গে পচা আলু হয়ে গেলাম দাবি অজিত মাইতির!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে দেখে রবিবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। জনতার মারের ভয়ে অজিত মাইতি দৌড়ে গিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। সম্প্রতি শেখ সিরাজকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় অজিত মাইতিকে অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা অজিতের শাস্তি চান। কারণ তাঁদের অভিযোগ, অজিত মাইতি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ। শাহজাহান, সিরাজের হয়ে মানুষের কাছ থেকে এই তৃণমূল নেতাই তাঁদের জমি, ভিটে জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছেন। যদিও অজিত মাইতির দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি।

এদিন রাস্তায় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে দেখে গ্রামবাসীরা তাকে ধরতে ছুটে যান। সেই সময় রাস্তার পাশে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির দরজা খোলা থাকায় অজিত সেখানে ঢুকে পড়েন। বাড়ির দরজার কোলাপসেবল গেটের তালা না থাকায় হাতের সামনে থাকা কাপড় দিয়ে গেটটি আটকে দেন। এদিকে বাইরে মারমুখী গ্রামবাসীদের রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে।

Advertisement

খবর পেয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির দরজার সামনে পৌঁছে যান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দেখে রীতিমত আতঙ্কিত অজিতবাবু সাংবাদিকদের কাছে সাহায্যের জন্য অনুনয় করতে থাকেন। এরপরে সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তর দিতে থাকেন অজিত। তিনি বলেন,” আমি কিছু করিনি। ২০১৯ সালে আমি বিজেপি করতাম। তখন তৃণমূল আমাকে চাপ দিয়ে দলে টানার চেষ্টা করেছিল। আমি দলে আসতে অস্বীকার করলে আমাকে মারধর করা হয়। পরে শাহজাহানদের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। আমি এখন পচা আলু হয়ে গেছি। দলে পচা আলুদের সঙ্গে আমার নাম জড়ানোয় আমিও পচে গেলাম।”

এরপরে তাঁর নতুন ক্ষমতা পাওয়া প্রসঙ্গে অজিত বলেন, “আমি অঞ্চল সম্পাদকই থাকতে চাই। শনিবার আমাকে অঞ্চল সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই পদে আমি থাকব না। আজই আমি পদত্যাগ করব।”

এদিকে দরজা বন্ধ থাকায় বাড়ি মালিক বাড়ির ভেতরে ঢুকতে পারেননি। ওই ব্যক্তি স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ারের বাবা। তিনি এদিন সকালে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন বাড়ির কোলাপসেবল গেট আটকে রেখেছেন অজিতবাবু। বাড়ি সামনে তুমুল উত্তেজনা চলছে। তাই ভিজে গায়ে ওই বৃদ্ধকে দীর্ঘক্ষণ বাইরেই বসে থাকতে হয়। তিনিও অজিতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “অজিতকে আমি ভাল চোখে দেখি না। যাঁরা আন্দোলন করছেন আমি তাঁদের পক্ষে।”

বেশকিছুক্ষণ ধরে এমন পরিস্থিতি চলার পরে পুলিশ ওই বাড়ির মালিককে বাড়িতে ঢোকাতে আসে। কোলাপসেবল গেট খুলে বৃদ্ধকে ঢোকাতে গেলে বাড়ির অন্যান্য ঘরে অজিত মাইতিকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।

এদিকে অজিত মাইতির পাশে যে দল নেই, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন রাজ্য মন্ত্রী সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, “অজিত মাইতিকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছি। উনি কোনও কালেই অঞ্চল সভাপতি ছিলেন না। জয়েন্ট কনভেনর তো আগেই জানালাম হলধর ও শক্তিদা। কেউ অন্যায় করলে সে শাস্তি পাবে।”


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ