অন্যান্য 

Madhyamik Examination 2024: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক : অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেয়ার করুন

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক

              অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়

অধ্যক্ষ : ব্রিলিয়ান্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মধুবনী, বিহার

ছোটবেলা থেকেই বাবা -মায়ের মুখে যে কথাটা পড়াশুনোকে কেন্দ্র করে সবথেকে বেশি শোনা যায় তা হল মাধ্যমিকে কিন্তু ভালো রেজাল্ট করতেই হবে, সময়ের সাথে সাথে মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্র ছাত্রীদের কাছে হয়ে ওঠে অর্জুনের লক্ষ্যের ন্যায় তারা বিভিন্ন ভাবে নিজেদেরকে গড়ে তোলে । এই পরীক্ষার জন্য তবে শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা বা নোটসের পাহাড় পরে ফেললেও কিন্ত অনেক সময় সাফল্য অধরা থেকে যায় তার কারণ হল উপযুক্ত অধ্যায়ন এর অভাব দীর্ঘ দিন শিক্ষাকতার সুবাদে এবং শিক্ষা সম্পর্কিত প্রশাসন পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি ছাত্র ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকেরা সঠিক লক্ষ্য থেকে অনেক সময়েই সরে যান, যেরকম প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে মা বাবার অতিরিক্ত চাপ অনেক সময়েই ছাত্র ছাত্রীদের ফলাফলকে খারাপ করে। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে কোন ছাত্র অঙ্কে খারাপ কিন্ত সে ইতিহাসে খুব ভালো সে ক্ষেত্রে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আমার অনুরোধ ছাত্রটিকে জোর করবেন না যে তাকে একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান নিয়েই ভর্তি হতে হবে। উপরন্তু তাকে এই মনের সাহস যোগান যে অঙ্ক টা একটু মনোযোগ দিয়ে করে সে যাতে মাধ্যমিক পাশ করে কলা বিভাগে ভর্তি হয়ে ইতিহাস টাকে ভালো করে পড়ে আগামী দিনে একজন ভালো অধ্যাপক হতে পারে।

Advertisement

বিভিন্ন সময়ে আমি দেখেছি যে ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন ভাবে ভুল পরিচালিত হয় তাদের উদ্দেশ্য আমার একান্ত অনুরোধ জীবনের বড় এই পরীক্ষা একটু বুদ্ধি করে দিতে হবে, সবার প্রথমে যেটা করতে হবে অন্তত এই শেষের কটা দিন একদম একটা রুটিন বানিয়ে পড়তে হবে, সকালের দিকে চেষ্টা করবে মুখস্ত করার জিনিস গুলো পড়ার, বেলার দিকে একটু গণিত অনুশীলন করে দুপুরের দিকটা বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যা বেলা থেকে আবার অনুশীলন শুরু করবে। টেস্ট পরীক্ষা যেহেতু তোমাদের হয়ে গেছে তাই তোমরা জেনে গেছ যে কার কোন বিষয়ে কতটা অনুশীলন প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে এই শেষ কটা দিন, যে বিষয় গুলো তোমাদের খুব ভুল হয় যেরকম map work, mcq, বানান এগুলো ভীষণ নিখুঁত ভাবে অনুশীলন কর। এই শেষের কটা দিন মনে রাখবে প্রতিটি বিষয়ের খাতা সুন্দর ভাবে পরিবেশনা করা একটি কলা, তুমি যত সুন্দর ভাবে খাতা পরিবেশন করবে পরীক্ষক তত খুশি হবেন। সেক্ষেত্রে অনেক সময় খুব সুক্ষ ভুলগুলো আমরা অতটা গুরুত্ব দিই না, হাতের লেখা যতটা সম্ভব পাঠযোগ্য করে লেখার চেষ্টা করবে।

পরীক্ষা শুধুমাত্র রাশি রাশি পুঁথি মুখস্ত করা নয়, শরীর সুস্থ রেখে ঘড়ি ধরে তোমার সেরাটা পরীক্ষার হলে পরিবেশনা করাটাও ভীষণ জরুরি তাই শেষের কদিন চেষ্টা করবে রাতে বেশি না জেগে পরে সকালবেলা উঠে পড়ার।জাঙ্ক ফুড পারলে কটা দিন Avoid করা উচিত বলে আমি মনে করি। তাছাড়াও তোমাদের এখন প্রধান বন্ধু মুঠোফোন, ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছুদিন দূরে থাকাটাই শ্রেয় পরীক্ষার পর আবার সব আগের মত করবে এই কদিন না হয় একটু রয়ে সয়ে চললে। বিশেষ করে ছাত্রীদের উদ্দেশ্য আমার বলা তোমরা প্রকৃতির নিয়মে মাঝে মাঝে একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পর সেই সময় চেষ্টা বেশি চাপ নিয়ে পড়ার দরকার নেই এতে পরবর্তী সময়ে শারীরিক অসুবিধা হতে পারে।

সবার উদ্দেশ্য বলা কোন কিছুতে মানসিক চাপ নেবে না জানবে জীবনের প্রতিটি পরীক্ষা নতুন অভিজ্ঞতা ও নতুন শিক্ষা নিয়ে সামনে আসে, একটু সচেতনতা, একটু অধ্যায়ন ঘড়ি ও রুটিন মেনে চলা যেকোনো পরীক্ষার সাফল্যের চাবিকাঠি বলে আমি মনে করি ।তোমরা নতুন যৌবনের দূত সাফল্য তোমাদের কাছে ধরা দেবেই আগামীর জন্য রইলো অনেক স্নেহাশির্বাদ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ