Swapnadip Kundu: আর যেন কোন স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্ন ভঙ্গ না হয় ! যাদবপুরের বাস্তুঘুঘুদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া পদক্ষেপ জরুরী!
সেখ ইবাদুল ইসলাম: মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ অনেক হয়েছে আর নয়। যাদবপুরের রাগিং কান্ড বন্ধ হওয়া উচিত। এ বিষয়ে সমস্ত নিয়ম-কানুনকে অগ্রাহ্য করে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা। যাদবপুরের অভ্যন্তরের যে চিত্র প্রকাশিত হচ্ছে তাতে আর যাই হোক মেধাবী সন্তানদের কাছে সেটা ভালো লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে না। অবশ্যই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। হতেই পারে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় তাহলে তরুণ প্রজন্মের নিরাপত্তা থাকবে না। রাগিং এর নাম করে যে অত্যাচার চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। প্রয়োজন হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। ইউজিসির যে গাইড লাইন আছে, সেই গাইডলাইন কে ভালোভাবে ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে। সেই দায় এবং দায়িত্ব দুটোই নিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এরকম মেধাবী সন্তানের প্রয়োজন নেই যারা আরেক মেধাবী সন্তানকে মানসিকভাবে অত্যাচার করে এবং রাগিং এর নাম করে নিপীড়ন করে, এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ড কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র ছিল যাদবপুরকে ভালোবেসে বাংলা নিয়ে পড়তে এসেছিল তার পরিণতি দুদিনের মধ্যে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এর দায় কার! কেন যাদবপুরের ছাত্র হোস্টেল গুলিতে দিনের পর দিন গেস্টের নাম করে প্রাক্তন ছাত্ররা বসে থাকবে? কেন যাদবপুরের অধ্যাপক না নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করবেন কেন? যাদবপুরের প্রশাসনকর্তারা চুপ করে বসে থাকবেন! আজকের সভ্য সমাজে দাঁড়িয়ে এটা কল্পনা করা যায় না। রাগিংয়ের নাম করে এক মেধাবী সন্তানকে খুন করা হচ্ছে। নিরব প্রশাসন, নিরব কলকাতা পুলিশ!
ছাত্র ফেডারেশন রয়েছে ছাত্রদের অনুগামী সংগঠন সিপিএমের মদদপুষ্ট সংগঠন নিরব কেন? রাস্তায় নামছেন না? কেন প্রশ্ন তুলছেন না আর নয় আর কোন মেধাবী সন্তানকে মরতে দেওয়া যাবে না! কয়েক মাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পুকুরে ভাসতে দেখা গেল এক প্রাক্তন ছাত্রকে! এ কোন মেধাবী বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আলোর চেয়ে অন্ধকার বেশি, কেন কেন এই অন্ধকার কেন স্বপ্নদ্বীপরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারলেন না কারা দায়ী? কে দায়ী?
শুধু কি ছাত্র ফেডারেশন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে নকশাল পন্থী ছাত্র সংগঠন। আছে অন্যান্য ছাত্র সংগঠন তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন অনেকটাই দুর্বল যাদবপুরে। এই সকল ছাত্রসংগঠনগুলো নীরবতা অবলম্বন করছে কেন? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুদের আর্তনাদ কী শুনতে পাচ্ছেন না ?এই রাজ্যের তথাকথিত সুশীল সমাজের মানুষ কেন নামছে না তারা রাস্তায়? কেন বলছেন না যাদবপুরের এই রাগিং বন্ধ হওয়া প্রয়োজন?
সুতরাং দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ রয়েছে। তিনি ভাঙতে পারেন যাদবপুরের এই বাস্তু ঘুঘুদের বাসা গুলোকে যারা দিনের পর দিন যাদবপুরকে নিজেদের কব্জায় রেখেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কর্তৃপক্ষরা দাবি করেছেন স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডু নিয়ম না মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ছিলেন সেই কর্তৃপক্ষদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। একজন মানুষের মৃত্যু হল তরুণ প্রজন্মের একজন মানুষ চলে গেলেন এক ছাত্রের মৃত্যুর পর নীরবতা কেন ?
স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যুর পর যে কায়দায় কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছে তা মেনে নেওয়া যায় না ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তদন্তের গতিতে বাড়াতে হবে, প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঢুকে গ্রেফতার করতে হবে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা যাবে না। কারণ একজন তরুণ প্রজন্মের সন্তানের যেভাবে মৃত্যু হয়েছে তাকে মেনে নেয়া যায়না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যারা বলছেন যে স্বপ্নদ্বীপ নিয়ম না মেনে হোস্টেলে ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের উচিত এখুনি তাদেরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করুন পরিষ্কার হয়ে যাবে এই ঘটনার নেপথ্যে কারা কেন আড়াল করতে চাইছেন তাদের! আসলে কলকাতা পুলিশের সাহস নেই এই তদন্তের ভেতরে ঢোকার!
তবে অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহস থাকার কথা গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসা এক নেত্রী, তিনি বুঝতে পারছেন সাধারণ মানুষের মনের ব্যথা । গ্রাম বাংলার এক সন্তান কলকাতায় পড়তে এসেছিল স্বপ্ন নিয়ে তার স্বপ্ন যে ভাবে ধূলিসাৎ হয়ে গেল তার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া নৈতিক দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর। আর নয় অনেক হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার আপনি কঠোর হন যাদবপুরে বিষয়ে আপনাকে আরো বেশি কঠোর হতে হবে। এই ঘটনাকে যারা আড়াল করতে চাইছেন তাদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ করুন। কারণ মনে রাখবেন আজকে যদি আপনি কঠোর হন আজ যদি যাদবপুরের বাস্তু ঘুঘুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেন তাহলে আগামী দিন এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা এবং ভারতকে আরো আরো অনেক বেশি ভালো সন্তান উপহার দেবে।