দেশ 

বিজেপি শাসিত মনিপুরে হিংসা অব্যাহত, মঙ্গলবার রাতেই হিংসার বলি ১১ আহত ২৫, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক: বিজেপি শাসিত মনিপুর রাজ্যের হিংসা অব্যাহত। প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে হিংসা চলছে ওই রাজ্যে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনিপুর সফরের পরেও হিংসা থামার নাম নেই কার্যত রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মণিপুরের বিজেপি সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এদিকে মঙ্গলবার ভোররাতে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী রইল মণিপুরের থামেলক গ্রাম।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে এই গ্রামে রাতের অন্ধকারে সহিংস ও জঙ্গিরা ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন পুরো গ্রাম ছিল ঘুমের মধ্যে অতর্কিত এই আগুনে বেশ কয়েকজন মানুষ দগ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর এখনো পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫ জন আহত হয়েছে তবে এই সংখ্যাটা আরো যে বাড়তে পারে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

Advertisement

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই গ্রামে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময় বহু গ্রামবাসীই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কিংবা রাতের খাওয়া সারছিলেন। অতর্কিত আক্রমণে লন্ডভন্ড হয়ে যায় গ্রাম। দ্রুত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর জখম। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, কুকি-মেতেই সংঘর্ষে মণিপুর এখন অশান্ত, হিংস্র। সেখানকার ‘মেতেই’ সংখ‌্যাগরিষ্ঠ উপজাতির তফসিলি জাতির স্বীকৃতির দাবি নিয়ে আন্দোলন ওই ছোট্ট রাজ্যে নাগা-কু‌কি জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে পালটা প্রত‌্যাঘাতের জন্ম দিয়েছে। আর তাকে ঘিরেই রক্তাক্ত লড়াই, কারফিউ, পুলিশের গুলি- গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যার সাক্ষী মণিপুর। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো।

যাইহোক এতগুলো মানুষের প্রাণহানি মনিপুরের বিজেপির সরকারের ব্যর্থতাকে আরো বেশি প্রকট করেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও এ বিষয়ে তেমনভাবে হস্তক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে এখনই ওই এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়ন করে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে দেশের সচেতন নাগরিকরা।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ