মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন দফতরে তিন হাজার নিয়োগের সিদ্ধান্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম ফারহাদ
বিশেষ প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ও লাগাতার এজেন্সি দিয়ে ব্যতিব্যস্ত রেখে রাজ্য সরকারকে কোনো ভাবে পিছু হটানো সম্ভব হচ্ছে না। নিয়োগ দূর্নীতি ডিএ আন্দোলন সহ বিভিন্ন চাপের মধ্যে দিয়ে এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রীসভায় নতুন নিয়োগের সিলমোহর পড়লো। নিয়োগের অধিকাংশটাই মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃনমূল মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশন। এসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি একেএম ফারহাদ। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, কুৎসার রাজনীতির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন বিরোধীদের সঙ্গে এজেন্সি গুলো এক হয়ে সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। কিন্তু কেন্দ্রের রিপোর্টে মিড ডে মিল, আবাস যোজনা গ্রামোন্নয়ন সহ বিভিন্নক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সেরার শিরোপা পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলই রাজ্যের মিড ডে মিল ব্যবস্থাকে দেশের সেরার সার্টিফিকেট দিচ্ছে।
একেএম ফারহাদ আরও বলেন, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন দফতরে যে নিয়োগ আগামী দিনে শুরু হতে চলেছে তাতে বিগত দিনের থেকে মাদ্রাসা গুলি আরো প্রাণবন্ত হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের মুকুটে আরও একটি পালক জুড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ১৭২৯ টি মাদ্রাসা শিক্ষক পদে নিয়োগের সিলমোহর রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার জন্য আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একেএম ফারহাদ বলেন আমরা মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় রাজ্য সরকারের ১২ বছরের উন্নয়নকে তুলে ধরার জন্য লিফলেট সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, বিরোধীরা শুধু মিথ্যা চক্রান্তই করতে পারেন,অথচ কেন্দ্র সরকার লাগাতার ১০০ দিনের টাকা থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করছে, সেসব নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই। রাজ্যের গরীব মেহনতি শ্রমিকগুলো ১০০ দিনের প্রাপ্য পাচ্ছে না, তা নিয়ে বিরোধীরা কোনো দিন কথা বলে না। তারা শুধুমাত্র কুৎসা করতে জানে। রাজ্যের মানুষ ২০২৪ সালে এই কুৎসার জবাব দিয়ে দেবেন।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখে চক্রান্তকারী ও কুৎসাকারী দের উপযুক্ত জবাব দেবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
