জেলা 

কপিল মুনির আশ্রমের উন্নয়নে মোদী সরকার কোনো সাহায্য করেনি ; গঙ্গাসাগর মেলার আগে মমতার এই অভিযোগে বিপাকে বিজেপি

শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ‘‘কপিল মুনির আশ্রমকে ঘিরে এলাকার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রকে বলেছিলাম ৷ কিন্তু ওরা এদিকে তাকিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেনি৷ আমরা ওদের থেকে ভিক্ষে নিতে যাব না ৷ নিজেরাই উন্নয়ন করে দেখিয়ে দেব ৷’’ শুক্রবার দক্ষিন ২৪ পরগনার জেলা পুলিশের এক অনুষ্ঠানে হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সরাসরি মোদীকে টার্গেট করে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হলেন । এমন এক সময় সরব হলেন যখন বিজেপি রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিজেদের প্রভার বাড়াতে চেষ্টা করছে ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগের প্রভাব রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে । তিনি সময় কাল বিচার করে এই মন্তব্য করেছেন সাগর সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে । প্রতিবছর সাগরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আরএসএস তাদের মতাদর্শ প্রচার করে থাকে । তাই এই সময় কপিল মুনির আশ্রম এলাকার উন্নয়নে কেন্দ্র কিছু করেনি এই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী করায় জনসংযোগ করতে সংঘ পরিবরাকে এবার খানিকটা বেগ পেতে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে ।

Advertisement

তিনি বলেন গঙ্গাসাগর পবিত্র ভূমি ; সেই ভূমির উন্নয়নে কোনো কাজই করেনি মোদী সরকার । বারবার বলা সত্ত্বে কপিল মুনির আশ্রম এলাকার উন্নয়নে কোনোরূপ কাজ করেনি বা করার আগ্রহও দেখায়নি বিজেপি সরকার বলে তোপ দাগেন মমতা । তিনি আরও বলেন আমরা কারও ভিক্ষা চাই না । আমরা নিজেরাই উন্নতি করে দেখিয়ে দেব ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন,  তবে তাঁর আশ্বাস, কেন্দ্র বঞ্চনা করলেও রাজ্য সরকার উন্নয়নে খামতি রাখবে না৷ রাজ্যপাটে পালা বদলের পর থেকেই গঙ্গাসাগরকে নতুন চেহারায় সাজানো হয়েছে বলে এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গঙ্গাসাগরকে পর্যটনের কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে উদ্যোগী তৃণমূল সরকার৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেখানে পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের থাকার জায়গা, রাস্তা, ঘাট, যোগাযোগের উন্নতি, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নতুন থানা করা হয়েছে। ফলে সাগরে এখন শুধু মেলার সময়ই নয়, অন্যান্য সময়েও পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ‘‘কেন্দ্রকে গঙ্গাসাগরে একটি বন্দর তৈরি করার অনুরোধ করলেও কেন্দ্র সে ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এমকি তাদের কথা মতো প্রস্তাবিত বন্দরের শেয়ার ৭৪ শতাংশ ছাড়তে রাজি থাকলেও মুড়ি গঙ্গার উপর লোহার সেতু কারা তৈরি করেনি৷ অথচ, রাজ্য থেকে অন্তঃশুল্ক, সেস বাবদ নিয়মিত টাকা পাচ্ছে তারা।’’

 


শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

twenty − fourteen =