জেলা 

গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর, বিধায়ক অনুগামীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি আহত ১০

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারানোর জন্য গুজরাট থেকে উড়িয়ে এনেছেন ইউসুফ পাঠানকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অংক যে প্রতি পদক্ষেপে ব্যর্থ হচ্ছে তা নতুন করে বলার অপেক্ষায় রাখেনা। শনিবার সকালে তৃণমূল দলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দলের উত্তাল হয়ে উঠল ভরতপুর এলাকা। এই ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের সঙ্গে ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামের অনুগামীদের সংঘর্ষে শনিবার সকাল থেকেই এলাকা উত্তাল।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন সময়ে দলের এই অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন দলের মুখ লুকোনার জায়গা পাচ্ছেনা তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি এটা কোন গোষ্ঠী সংঘর্ষ নয় এটা গ্রাম্য বিবাদ পুলিশ সমস্যার সমাধান করে দেবে। কিন্তু একটা কথা পরিষ্কার হুমায়ুন কবিরের অনুগামীদের ওপর আঘাত হানার ফলে আগামী দিনে এই এলাকার তৃণমূলের অধিকাংশ ভোটের অধীর চৌধুরীর পক্ষে চলে যাবে তার বলার অপেক্ষায় রাখেনা। সূত্রের খবর ভরতপুর এলাকার সরডাঙ্গা বিন্দারপুর গ্রামে এক পক্ষের ছাগল অন্য পক্ষের ফসল খেয়ে নেওয়া নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। প্রাথমিক ভাবে তর্কাতর্কি শুরু হয়েছিল। ক্রমে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আচমকা এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। অভিযোগ, ব্লক সভাপতির অনুগামীরা বিধায়কের অনুগামীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়েন। এতে বিধায়ক অনুগামী মহিলা, বৃদ্ধ-সহ ১০ জন জখম হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

আহতদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পাওয়া নিয়ে হুমায়ুনের অনুগামীদের সঙ্গে ব্লক সভাপতির অনুগামীদের ঝামেলা শুরু হয়েছিল। বিধায়কের নির্দেশেই তাঁরা নির্দলের টিকিটে ভোটে লড়েছিলেন। ভোট মিটে যাওয়ার পর আবার তৃণমূলে যোগ দেন বিধায়কের হাত ধরে। কিন্তু ব্লক সভাপতি টারজানের লোকজন সেই থেকে তাঁদের নানা ভাবে হেনস্থা করছেন বলে অভিযোগ। শনিবার সেই গোলমাল বড় আকার নিয়েছে।

বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল ভরতপুর থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। মানুষ আতঙ্কিত। এলাকায় ভয়মুক্ত পরিবেশ স্থাপনের আবেদন জানিয়েছে তারা।

শনিবারের ঘটনায় আহত এক তৃণমূল কর্মী মার্জিনা বেওয়া বলেন, ‘‘আমরা বিধায়কের লোক। দলের টিকিট না পাওয়ায় বিধায়কের নির্দেশে নির্দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। আমাদের বাড়ির লোক ভোটে জেতে। তার পর থেকেই টারজানের লোকজনের আক্রোশ আমাদের উপরে। বিনা কারণে ওরা আমাদের বাড়ির সকলকে খুন করার চেষ্টা করছে।’’

তবে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি অপূর্ব সরকার। তিনি বলেন, ‘‘গ্রাম্য বিবাদ নিয়ে গণ্ডগোল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ