দেশ 

ছেলের শেষকৃত্যে যোগ দিতে চেয়েছিলেন লাশ হয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের জেলবন্দী গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও আশরাফ আহমেদ, প্রকাশ্যে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হলো এই দুই গ্যাংস্টারকে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দুদিন আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছেলে খুন হয়েছিলেন আর আজ পুলিশের ঘেরাটোপের এর মধ্যে খুন হয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। ছেলের আসাদের মৃত্যুর পর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মুক্তি চেয়েছিলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। আর সেই কারণে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শুধু আতিক আহমেদ নয় তার সঙ্গে তার ভাই আশরাফকেও খুন করা হয়েছে।

আর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁদের। হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেই তাঁরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। আচমকা খুব কাছ থেকে দুই বন্দির মাথায় গুলি! উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পুলিশের চোখের সামনে আততায়ীদের হাতে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফের খুনের ঘটনার হাড়হিম করা সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল।

Advertisement

দিন দুয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন আতিকের পুত্র আসাদ ও তাঁর সঙ্গী গুলাম। এ বার প্রকাশ্যে খুন করা হল আতিক ও তাঁর ভাইকেও। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালের পথে হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আতিক এবং আশরফ। সেই সময় পিছন থেকে আচমকা ভিড়ের মধ্যে কয়েক জন তাঁদের মাথায় গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা দু’জনই। তার পরেও তাঁদের ঘিরে ধরে গুলি চালাতে চালাতে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে থাকেন আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।

Advertisement:

আতিকদের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল আসাদের মৃত্যুর পর থেকেই ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। পুলিশের পাল্টা দাবি, আসাদরাই প্রথমে আক্রমণ চালিয়েছেন। বাধ্য হয়েই পাল্টা গুলি চালাতে হয় তাদের। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে শনিবার ছেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আতিক। কিন্তু তাঁর আইনজীবী মণীশ খন্না পিটিআইকে জানান, ১৪ এপ্রিল অম্বেডকর জয়ন্তীর ছুটি থাকার কারণে আতিকের আবেদনপত্রটি মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়। নিয়ম মেনে সেই কারণেই আতিক ও তাঁর ভাইকে মেডিক্যাল করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ছেলের শেষকৃত্যের দিন পুলিশের সামনে খুন হয়ে গেলেন আতিকও।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ