দেশ 

চার বছরে যোগীর রাজ্যে এনকাউন্টারের সংখ্যা ৮৪৭২

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের যোগী রাজ্য নাকি বিগত চার বছরে স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই উন্নত হয়েছে যে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো যোগীর এতটাই প্রশংসা করেছেন যার ফলে যোগীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আরো উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনের যোগী আদিত্যনাথ ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আসলে নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহ যাই বলুক না কেন যোগীর রাজ্যের আইন শৃংখলার পরিসংখ্যান অন্য কথা বলছে।  এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই উন্নত হয়েছে যে বিগত চার বছরে হু হু করে বেড়েছে এনকাউন্টারের সংখ্যা।

Advertisement

যোগীর রাজ্যের পুলিশ রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্তই রাজ্যে সরকারি হিসেবে এনকাউন্টারের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৭২টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩০২ অপরাধী আহত হয়েছে। মারা গিয়েছে ১৪৬ জন। বহু অপরাধীই গুলি লেগে খোঁড়া হয়ে যাওয়ায় এই ধরনের এনকাউন্টারকে চলতি কথায় বলা হচ্ছে ‘অপারেশন ল্যাংড়া’।

উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রশান্ত কুমারের মতে, এই পরিসংখ্যান থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, অপরাধীদের প্রাণে মেরে ফেলার কোনও ইচ্ছে পুলিশের নেই। কেবল মাত্র তাদের গ্রেপ্তার করতেই পায়ে গুলি করা হয়। এদিকে এই সময়কালে ১৩ জন পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। আহত হতে হয়েছে প্রায় ১২০০ জনকে। বহু ক্ষেত্রেই আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। তবে সবক্ষেত্রেই কোমরের নিচে সাধারণত পা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, যাতে আহত অবস্থায় তাদের ধরা যায়।

এর মধ্যে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এই সময়কালে এখানে ২ হাজার ৮৩৯টি ঘটনা ঘটেছে এখানে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ হাজার ২৮৮ জনকে। মারা গিয়েছে ৬১ জন। আহত ১ হাজার ৫৪৭। বছর দুয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট এনকাউন্টারের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবার কথা ঘোষণা করেছিল। প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বিরোধীরাও।

কিন্তু উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারের ঘটনা তাও কমেনি। তবে প্রশান্ত কুমারের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইনের বাইরে গিয়ে কিছু করলে তা নিয়ে তদন্ত করা হয়। অনেক সময় মামলাও হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগ ওঠেনি বলেই দাবি তাঁর।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ