সর্বদলীয় সংসদীয় দলে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য মমতাকে ফোন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তারপরে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত তৃণমূলের? কে যাচ্ছেন?
বাংলার জনরব ডেস্ক : দলনেত্রীকে না জানানোর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দলের থেকে ইউসুফ পাঠানের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজুজু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ফোন করে পাকিস্তানের সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে কেন্দ্র সরকার যে সর্বদলীয় সংসদীয় দল পাঠানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই দলে তৃণমূলের প্রতিনিধি রাখা হোক। তৃণমূল নেত্রীকে এই অনুরোধ করার পরেই তিনি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই প্রতিনিধি দলে নেওয়ার জন্য জানিয়ে দিয়েছেন।
দলকে না-জানিয়ে বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে সংসদীয় দলে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে রাখায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। দলের দুই সর্বোচ্চ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, কেন্দ্র বা পক্ষান্তরে শাসকদল বিজেপি ঠিক করতে পারে না তৃণমূলের তরফে কে যাবেন। তা দলই ঠিক করবে। মমতা এবং অভিষেক সোমবার এ-ও স্পষ্ট করেছিলেন, কেন্দ্র যদি অনুরোধ করে, তা হলে তৃণমূল নিশ্চয়ই তা বিবেচনা করবে। সেই সূত্রেই ওই দল থেকে পাঠানের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল রবিবার।
বাংলার শাসকদল সূত্রে খবর, রিজিজুর সঙ্গে ফোনে কথা হওযার সময় দলের নেতৃত্বকে না-জানিয়ে কী ভাবে কেন্দ্র তৃণমূলের প্রতিনিধির নাম ঠিক করেছিল, তা নিয়ে ক্ষোভ জানান মমতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও মমতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে আলোচনার মধ্যে দিয়েই ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’পক্ষ। উল্লেখ্য, রিজিজুই ফোন করে সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন পাঠানের সঙ্গে। তাঁর পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথি চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দলের কানে যাওয়ার পরেই বিষয়টি রুখতে মাঠে নেমেছিলেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের প্রথম সারির নেতারা।
সোমবার মমতা জানিয়েছিলেন, বিদেশনীতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তৃণমূল রয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয় দলই ঠিক করবে। একই কথা বলেছিলেন অভিষেকও। সোমবার রাতে বিদেশ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক শেষে অভিষেক দিল্লিতে বলেছিলেন, ‘‘কেন্দ্র চাইলে এক ঘণ্টায় পাঁচ জনের নাম দিয়ে দেব। কিন্তু তা দল ঠিক করবে। অন্য কেউ নয়।’’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এ-ও বলেছিলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছে তৃণমূল বয়কটের রাজনীতি করছে। না, আমরা বয়কটের রাজনীতি করছি না।’’ রবিবার রাত থেকে এই নিয়ে তৃণমূল কেন্দ্রের উপর ‘চাপ’ তৈরি করা শুরু করেছিল। এর পরই মঙ্গলবার মমতার কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিনিধি পাঠানোর ‘অনুরোধ’ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।