অন্যান্য 

বাংলার মুসলিম সমাজের নবজাগরণের অন্যতম পীঠস্থান হুগলী মাদ্রাসা কেন বন্ধ করা হল তা জানতে অবশ্যই চাইবে সাধারন মানুষ ,হাজী মুহাম্মদ মহসীনের স্বপ্নের মাদ্রাসার এই পরিণতি কী বাংলার মুসলমানরা মেনে নেবে ? : ইমতিয়াজ আহমেদ

শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

ইমতিয়াজ আহমেদ মোল্লা- পশ্চিমবাংলার রাজনৈতিক আঙিনায় পরিচিত মুখ । তাঁর বক্তব্য দেওয়ার ক্ষমতা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় যেকোনো বড় রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য হতে পারতেন। কিন্ত তিনি বিশ্বাস করেন কোনো মনুবাদী রাজনৈতিক দল এদেশের সংখ্যালঘু – দলিত স্বার্থে কোনো কাজ করবে না। তাই তিনি নিজেই গড়ে তুলেছেন ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল পার্টি । তাঁর পার্টির উদ্দেশ্য- লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বাংলার জনরব নিউজ পোর্টালের মুখোমুখি । আজ চতুর্থ কিস্তি ।

প্রশ্ন : আপনার ভাষনে বেশির ভাগটাই রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের বিরুদ্ধে থাকে । যদিও শাসক দল অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছে বলে দাবি করে । এ প্রসঙ্গে আপনার প্রতিক্রিয়া ?

Advertisement

ইমতিয়াজ আহমেদ : উন্নয়ন কোন উন্নয়নেরকথা বলছেন ? কলকাতা শহরকে লন্ডন বানানোর প্রতিশ্রুতি শুনেছিলাম । কিন্ত কী হয়েছে ? শহরের সব বেআইনিভাবে তৈরি করা পাঁচ তলা বাড়িকে পুরসভা অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । কিন্ত খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে সব পাঁচতলা বাড়িকে পুরসভা অনুমোদন দিয়েছে তার ভিত দুতলার আছে । তাহলে দুতলার ভিত দেওয়া বাড়িতে পাঁচতলা হয়েছে । কোনো রকম পরীক্ষা না করে তাকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে । আবার প্রমোটাররা ওই পাঁচতলা বাড়িকে বেআইনিভাবে আর এক তলা তুলছে । এরফলে কলকাতার প্রায় সমস্ত সংখ্যালঘু প্রধান এলাকার বাড়িগুলি বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে । হয়তো বিশ-পঁচিশ বছর পর কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে ।

যদি লন্ডন বানানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে তো পুরসভা তো সিদ্ধান্ত নিতে পারতো যে অনুমোদন নিয়ে বাড়ি তৈরি করতে হবে । এরফলে বাড়িগুলি অনেক বেশি মজবুত ও টেকসই হত । আসলে আমাদের শহরের মেয়র একই সঙ্গে মন্ত্রী, জেলার সভাপতি । আবার তার উপরে রয়েছে পারিবারিক অশান্তি তা সত্ত্বে তাকেই কেন এতগুলি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা এখনও আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না । আসলে এটাই মনুবাদী শাসন ।

প্রশ্ন : হুগলী মাদ্রাসা খোলার সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে । তারপরেও আপনারা আন্দোলন করছেন সভা-সমাবেশে এ নিয়ে সরব হচ্ছেন কেন ?

ইমতিয়াজ আহমেদ : হুগলী মাদ্রাসা তিন বছর বন্ধ হয়ে গেছে । তারপর আমাদের আন্দোলন সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনের আন্দোলনের ফলে সরকার হুগলী মাদ্রাসা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে । কিন্ত  একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলতে গেলে যা প্রয়োজন তাহল প্রথমে শিক্ষক, পরে ছাত্র । খোলা হবে বলা হচ্ছে, শিক্ষক পাঠানো হয়েছে কী ? আর শিক্ষক না পাঠানো হলে ছাত্র স্বাভাবিকভাবেই আসবে না । হাজী মুহাম্মদ মহসীনের স্বপ্নের মাদ্রাসার এই পরিণতি কী বাংলার মুসলমানরা মেনে নেবে ? চুঁচড়া শহরে একদম হৃদয়ে অবস্থিত এই মাদ্রাসাটি বাংলার মুসলিম সমাজের নবজাগরণের অন্যতম পীঠস্থান তা কেন বন্ধ করা হল তা জানতে অবশ্যই চাইবে সাধারন মানুষ ।


শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

fourteen − 11 =