কলকাতা 

Aliah University: অপমানে আলিয়া ছাড়তে চান উপাচার্য, ঘটনার দিন পুলিশের সাহায্যও পাননি শুক্রবারের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন উপাচার্য মোহাম্মদ আলী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আলী মেয়াদ বৃদ্ধি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বলে শোনা গেলেও কিন্তু গত শুক্রবার পরিকল্পিতভাবে তাকে অপমান করার জন্য আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি থাকতে চান না । ক্ষোভ দুঃখ অভিমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যেতে চান। আগামী ১২ এপ্রিল মোহাম্মদ আলীর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু শোনা যাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রী নাকি মোহাম্মদ আলীকে পুনরায় উপাচার্য পদে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে গত শুক্রবারের ঘটনার পর ওই পদে আর থাকতে চান না বলেই পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মোহাম্মদ আলী বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহের ওই ঘটনার পরে সোমবার প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘ছাত্রেরা যে এই ভাষা প্রয়োগ করতে পারে, চড় মারার কথা, কান ধরে ওঠবস করতে বলতে পারে, তা আমার এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে শিক্ষক হিসেবে আমি ব্যর্থ।’’

Advertisement

বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি আর আলিয়ায় থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন উপচার্য। ফিরে যেতে চান নিজের পুরনো কর্মস্থল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মহম্মদ আলী বলেন, ‘‘আমি ইতিমধ্যেই আমাদের (যাদবপুরের) উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে একটি চিঠি দিয়েছি। উনি তাঁর জবাবও দিয়েছেন।’’ নিউ টাউনের ওই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে তিনি আর নিজেকে ‘নিরাপদ’ এবং ‘সম্মানিত’ বলে মনে করছেন না বলে জানান মহম্মদ আলী।

উপাচার্য জানিয়েছেন, ঘটনার দিন উত্তেজনা আঁচ পেয়ে তিনি প্রথমে বোর্ড রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তেরা জোরে জোরে দরজা ধাক্কা দেওয়ার তিনি বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। ‘দাপুটে’ ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন এবং তাঁর ১০-১৫ জন সঙ্গীর হাতে হেনস্থার সময় তিনি পুলিশকে ফোন করেও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ফোনে পুলিশকে জানানোর পরে তারা ‘দেখছি দেখছি’ বলে ফোন কেটে দেয়।’’

বহিষ্কৃত টিএমসিপি নেতা গিয়াসউদ্দিন-সহ অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তাঁরা নিরাপত্তারক্ষীদের ভয় দেখিয়ে জোর করে ঢুকেছে বলে অভিযোগ করেন নিগৃহীত উপাচার্য।

এই অবস্থায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেলে রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। জানা গেছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরক্ত। তবে এক কথায় বলে দিতে পারে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে অশালীন দুর্ব্যবহার করা হয়েছে তা এককথায় বাংলা সংস্কৃতির লজ্জা। এই ধরনের ছাত্রনেতাদের যে দল চেয় নেতা যে মন্ত্রী প্রশ্রয় দেন তিনি আসলে সমাজবিরোধীদের জন্ম দেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যা ঘটেছে এক কথায় লজ্জা বলা যেতে পারে। পুলিশ কেন নীরবতা অবলম্বন করেছে সে কথাটাও মুখ্যমন্ত্রীকে ভাবতে হবে। ঘটনার সঙ্গে যদি শাসকদলের কোন বড় নেতা যুক্ত থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন কেন এটাও রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ভাবাচ্ছে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ