কলকাতা 

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্তার নেপথ্যে কী শুধু গিয়াসউদ্দিন মন্ডল ? নাকি আরও বড় ষড়যন্ত্র?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরী : গত শুক্রবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আলীকে যে অকথ্য অশ্লীল গালিগালাজ এবং খুন করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে তার নেপথ্যে শুধু কি গিয়াস উদ্দিন মন্ডল দায়ী। নাকি বৃহৎ ষড়যন্ত্র কাজ করছে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বাংলার জনরব যা জানতে পেরেছে এককথায় চাঞ্চল্যকর। বলা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম কে ব্যবহার করে কিছু মানুষ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে শুধু গিয়াস উদ্দিন মন্ডল নয় আলিয়ার ভিসিকে অপমান লাঞ্ছনা এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোর করে বের করে দেয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে যাতে এ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।

আসলে সমস্যা অন্য জায়গায় আমরা বিগত নয় মাস ধরে বলে আসছি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে নীরব রয়েছেন। ফলে ছাত্র থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মধ্যে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। সেই খবর আমরা বাংলার জনরব একটা সময় নিয়মিত মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতেও সরকারের একটা অংশ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভিসির বিরুদ্ধচারণ করে চলেছে ।এক কথায় বলা যেতে পারে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কে বাঙালি মুসলিম শূন্য করার গভীর চক্রান্ত করা হচ্ছে।

Advertisement

আর এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা নীরবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকেই যে ক্ষুণ্ন করছে তা তারা ভেবে উঠতে পারছে না। আমরা বহুবার বলেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। তা নিয়ে আমাদেরকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে বেশ কয়েকজন তথাকথিত মেকি মমতা দরদী তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে। মনে রাখতে হবে মেকি দরদ দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন পাওয়ার চেষ্টা যারা করছেন তারা আসলে গোপনে ষড়যন্ত্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করে চলেছেন। যেমন এক ব্যক্তি যিনি fact-finding এর জনক বলে নিজেকে দাবি করে থাকেন শোনা যায় তিনি নাকি বিজেপির এক মুসলিম নেত্রীর ঘনিষ্ঠ ।ওই নেত্রী যখন ভোটে দাঁড়িয়েছিল তখন তার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বিভিন্ন জায়গায়।

সেই বিজেপি ঘনিষ্ট নেতাটি এখন তৃণমূলের পাওয়ারফুল নেতায় পর্যবেশিত হয়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর সঙ্গে আমাদের মতো মানুষেরা দেখা করতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে অপেক্ষা করতে হয় কিন্তু ওই সব ব্যক্তিরা যারা দিনের বেলা তৃণমূল কংগ্রেস রাতের বেলা বিজেপির সঙ্গে গোপন সমঝোতা করে চলেছে তারা দেখা করতে গেলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সঙ্গে সঙ্গে দেখা করেন বিষয়টি আমাদের কাছে এখনো বোধগম্য হচ্ছে না! বাংলার জনরব নাম প্রকাশ করতে ভয় পায় না। কিন্তু তৃণমূলের নেতৃত্ব যদি জানতে চান তাহলে যারা তৃণমূলের মধ্যে বসে  যে সকল মুসলিম নেতারা গোপনে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে মমতা ব্যানার্জির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে তাদের নাম-ঠিকানা আমরা দিতে পারি।

আর এই সকল নেতারাই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে চলেছে। আমরা আবারও বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত এখনই এই সকল নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া, না হলে আখেরে পস্তাতে হবে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ