জেলা 

Communal harmony: হিন্দু বন্ধুকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দান করতে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি হাসলু মহম্মদের,“আমার ছেলে মানুষকে বাঁচাতে মনুষ্যত্বের ধর্ম পালন করছে” দাবি কিডনি দাতার বাবার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : সম্প্রীতির অনন্য নজীর সৃষ্টি করলেন উত্তর দিনাজপুরের পেশায় হাট ব্যবসায়ী বছর একত্রিশের হাসলু মুহাম্মদ। তিনি তাঁর বন্ধুকে কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর বন্ধু অচিন্ত্য বিশ্বাসের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বন্ধুকে বাঁচাতে একটি কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসলু মুহাম্মদ।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢেলপির এলাকার বাসিন্দা হাসলুর। অচিন্ত্যর বাড়ি জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুনোরে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কেউ স্বাস্থ্য দফতরের কাছে স্বেচ্ছায় কিডনি দেওয়ার জন্য আবেদন করলে, দাতা টাকার বিনিময়ে কিডনি দিতে চাইছেন কিনা, সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসলু বিনা স্বার্থে বন্ধুকে বাঁচাতে কিডনি দিতে চান বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। ফলে তাঁর কিডনি দিতে আইনি কোনও বাধা নেই। দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সানা আখতার বলেন, “হাসলু ও অচিন্ত্যর বন্ধুত্ব সম্প্রীতির দৃষ্টান্তমূলক নজির তৈরি করবে।”

হাসলুর স্ত্রী মনোয়ারা গৃহবধূ। তাঁদের সাত ও পাঁচ বছরের দুই ছেলে রয়েছে। বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বছর আঠাশের অচিন্ত্যর ডায়ালিসিস চলছে। তাঁর স্ত্রী রিতা গৃহবধূ। তাঁদের আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বছর ছয়েক আগে কালিয়াগঞ্জের ওই ঋণদানকারী সংস্থায় এজেন্টের কাজে যোগ দেন হাসলু। তখন থেকেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

হাসলু জানিয়েছেন, “আমি অচিন্ত্যকে একটি কিডনি দিলে মরব না। বরং আমার একটি কিডনি পেলে অচিন্ত্য প্রাণে বেঁচে যাবে। ওর পরিবার ভেসে যাবে না। তাই জাতপাত দূরে সরিয়ে বিনা স্বার্থে বন্ধুকে বাঁচাতে আমি মাসখানেক আগে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ওকে কিডনি দেওয়ার আবেদন করেছি।”

অচিন্ত্য বলেন, “হাসলু আমাকে বাঁচাতে বিনা স্বার্থে ওর একটি কিডনি দিতে চেয়েছে। ওর কাছে আমি ও আমার পরিবার চিরকৃতজ্ঞ।”

হাসলুর বাবা পেশায় চায়ের দোকানি ফয়ম মহম্মদের বক্তব্য, “আমার ছেলে মানুষকে বাঁচাতে মনুষ্যত্বের ধর্ম পালন করছে।”

এর আগে নিঃস্বার্থ কিডনি দান করে সর্বভারতীয় স্তরে প্রচার পেয়েছিলেন হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। তিনিও এক হিন্দু যুবককে কিডনি দান করে সম্প্রীতির অনন্য নজীর সৃষ্টি করেছেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ