Featured Video Play Iconকলকাতা 

অমিতের কলকাতা সফর : বিমান-বন্দর থেকে সমগ্র কলকাতায় বিক্ষোভ বাম-কংগ্রেস ও মুসলিম সংগঠনগুলির , নীরব তৃণমূল !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো ছিলই । দিল্লির সহিংসতায় ৪৬ জনের মৃত্যু । ফলে সংস্কৃতির রাজধানী কলকাতা এমনিতেই তেতে ছিল । ঠিক সেই মুহুর্তে কলকাতা এলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । আর তাতে বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল বিমান বন্দর থেকে শহরের চারপাশে । শহিদ মিনার থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে চলছিল অমিত শাহ গো-ব্যাক স্লোগান । কিন্ত আশ্চর্যের বিষয় আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে কোথাও দেখা গেল না শাসক তৃণমূলকে । জীবন বাজি রেখে বিক্ষোভ চালিয়ে গেল বামেরা সঙ্গে দোসর কংগ্রেস । বামপন্থীরা আবারও প্রমাণ করলেন তারা মানুষের পাশে থাকে , ভোটের জন্য রাজনীতি করে না । বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে শুধু কথা বলে না , রাস্তায় নেমে প্রতিবাদও করে ।

এ দিন শহিদ মিনারে অমিতের সভা যখন চলছে, তখন সেখান থেকে কয়েকশো মিটার দূরে একাধিক জায়গাতেই চলছিল বিক্ষোভ কর্মসূচি। উঠছিল ‘অমিত শাহ গো ব্যাক’ স্লোগান। গ্র্যান্ড হোটেলের পাশের গলিতেই জড়ো হয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মোতায়েন ছিল পুলিশও। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার। পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন ছাত্রছাত্রীরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তিও। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে উত্তেজনার পারদ চড়ে গ্র্যান্ড হোটেলেরই আর এক দিকে। সেখানে ব্যারিকেডের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একটি মুসলিম সংগঠনের কয়েকশো সদস্য। আচমকাই তাঁদের দেখে ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেন কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। তাতে মুহূর্তে উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। সিএএ ও এনআরসি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অবস্থান চলছে পার্ক সার্কাসে। সেখানেও এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয়।

Advertisement

কলেজ স্কোয়ারে অমিত শাহের ব্যঙ্গমূর্তি নিয়ে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। এসএন ব্যানার্জি রোডে বিক্ষোভ দেখাতে পথে নামে ডিএসও। ট্রাম লাইনে আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনটির সদস্যরা। মধ্য কলকাতা ও উত্তর কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণে, সন্তোষপুরেও এ দিন পথে নামে বামেরা। প্রতিটি বিক্ষোভের ইস্যু হিসাবে সিএএ এবং এনআরসি তো ছিলই। তাতে ওজন বাড়িয়েছে সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংঘর্ষে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা। পরিস্থিতি আঁচ করে পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল শহিদ মিনার চত্বর। গত ১১ জানুয়ারি কলকাতায় পা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই দিন প্রবল বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল গোটা কলকাতা জুড়ে। এ দিন অমিত শাহকে ঘিরে সেই পরিস্থিতি অবশ্য তৈরি হয়নি।

অমিত শাহকে নিশানা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট করলেও তাতে বাঁধ মানছে না বাম ও কংগ্রেসের ক্ষোভ। অমিত শাহের কলকাতা সফরের দিনে বিরোধিতায় পথে নামেনি তৃণমূল। বরং পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা নির্বিঘ্নে মিটতে সাহায্য করেছে তারা। এই সমীকরণকে সামনে রেখেই তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর কথায়, ‘‘আজ সারাদিন কলকাতা পুলিশ, অমিত শাহের সভাকে সফল করার জন্য যেভাবে অতি সক্রিয়তা দেখাল সেটা এককথায় অভূতপূর্ব। মুখ্যমন্ত্রী -অমিত শাহের দিল্লির সেটিং কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন বড়কর্তা রাজীব কুমারকে বাঁচিয়েছিল। ভুবনেশ্বরের সেটিং-এর পরে আজ দিদি গৃহমন্ত্রীকে রিটার্ন গিফট দিলেন। এমনকি ধর্মতলা চত্বরে যারা ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিল তাদেরও পুলিশ জামাই আদর করে শহিদ মিনারে পৌঁছে দিল।’’

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

seven + 15 =