কলকাতা 

দূর্গাপুজো কমিটিগুলিকে অর্থ অনুদানে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।

আজ এই মামলার শুনানিতে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, কীসের ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে টাকা? এর জন্য রাজ্য সরকার কি কোনও গাইডলাইন তৈরি করেছে? নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। তার নিশ্চয় কোনও স্কিম আছে ? জনগণের টাকা একবার বেরিয়ে গেলে সেটা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এবিষয়ে দুই বিচারপতি আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এবিষয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য ১১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী, ক্লাবগুলিকে পুজোর জন্য আর কারও কাছে ভিক্ষা চাইতে যেতে হবে না। ক্লাবগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। তারপর ২৪ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। সেইমতো গতকাল থেকে চেক বিলি শুরু হয়ে গেছে বলে আজ মামলার শুনানিতে উল্লেখ করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। মামলাকারী আইনজীবী শামিম আহমেদের পক্ষে সওয়াল করছেন তিনি।

আজ মামলার শুনানির শুরুতেই বিকাশবাবু প্রশ্ন করেন, টাকা সরকারি কোষাগার থেকে চলে যাচ্ছে মহামান্য আদালত। এর বিরুদ্ধে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “সম্পূর্ণ ভুল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার টাকা দিয়েছে “সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ” প্রচারের জন্য। রাজ্য অর্থ দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং এর জন্য বাজেট তৈরি করা হয়েছে। তখন বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত জানতে চান, “পুরো পশ্চিমবঙ্গকেই কি দেওয়া হচ্ছে ? কীভাবে দেওয়া হচ্ছে?”

অ্যাডভোকেট জেনারেল আবার দুপুর ২টোর সময় মামলাটির শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, ভিডিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। প্রশ্ন করা হয়,  “মামলা হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী ২৪ সেপ্টেম্বর নোটিফিকেশন দিয়ে দিল। আর আপনি এখনও সময় চাইছেন, কেন কীসের ভিত্তিতে টাকা দেওয়া হচ্ছে তা জানানোর জন্য।”

এই বিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “ইমাম ভাতা দেওয়ার সময়তেও আমরা হাইকোর্টে এসেছিলাম। ২০১৮ সালেও আমরা হাইকোর্টে এলাম। কারণ, পুজোমণ্ডপে টাকা দেওয়া হয়েছে। এটা সংবিধান বিরোধী। তাই, ভারতবর্ষের একজন নাগরিক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এটাই বলতে চাই, রাষ্ট্র কোনও ধর্মকে প্রোমোট করতে পারে না। এই বক্তব্য আমরা হাইকোর্টে তুলে ধরেছি। আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। তার আগে টাকা অনুদান দেওয়া যাবে না বলে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে।”

 


শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

5 × 3 =