জেলা 

নদী বাঁচানোর দাবি নিয়ে সাইকেল র‍্যালী গেদে থেকে রানাঘাট

শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

জামিতুল ইসলাম, কৃষ্ণনগর : স্রোতের টানে মাথা যেখানে ভেঙে চূর্ণ হয়ে যায় সেটাই চূর্ণী নদী। বাংলার এই প্রখ্যাত নদীর সঙ্গে মাথাভাঙ্গা ও ইছামতীর একাংশও আজ ভয়ানক দূষণের কবলে। এই নদীগুলির জল সাগরের পাশাপাশি গঙ্গায় মিশে দূষিত করে তুলছে নদী তীরবর্তী এলাকার জনজীবনকেও। তাই স্বচ্ছ ভারতের অঙ্গীকার নিয়ে গান্ধী জয়ন্তীতে নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা গেদে থেকে মাথাভাঙ্গা-চূর্ণী বাঁচাও এই দাবী নিয়ে পথে নেমেছেন এক দল সমাজসেবী মানুষ। সাইকেল র‍্যালীর মধ্যে দিয়ে তারা প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার রানাঘাটে তাদে্র র‍্যালী শেষ করেন।
এই সাইকেল র‍্যালীর উদ্যোক্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের দর্শনার কেরু কোম্পানির চিনি ও মদ উৎপাদনের বজ্র পদার্থ মাথাভাঙ্গা ও চূর্ণী নদীতে ফেলছে। পাশাপাশি কিছু অসাধু মানুষ নদীর মধ্যে বাঁধ দিয়ে ইটভাটা ও মাছ চাষ করছেন। ফলে বাধা পাচ্ছে নদীর গতি। বারংবার ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে জানিয়েও আজ পর্যন্ত কোন লাভ হয়নি। এই নদী দূষণের ফলে যেমন নদীর নাব্যতা কমছে তেমনি হাজার হাজার মৎসজীবিদের জীবিকা সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। পাশাপাশি নদীর জল চাষে ব্যবহারের ফলে ফসলে বিষ ঢুকছে আর এই নদীর জল পান করে বিভিন্ন পশুপাখিরও মৃত্যু ঘটছে। ফলে সমাজে বিভিন্ন ধরণের দূষণের মাত্রা বাড়ছে। অবিলম্বে এই বিষয়ে সরকারি ব্যাবস্থা গ্রহণ না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।


শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

three × five =