দেশ 

মোহনের বার্তায় জল্পনা তুঙ্গে! প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাচ্ছেন মোদী?

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদির অবসর নিয়ে আর এস এস প্রধান  মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) হাওয়ায় যে কথা ভাসিয়ে দিয়েছেন, তা নিয়ে তোলপাড় সর্বভারতীয় রাজনীতি। সম্প্রতি ভাগবত বলেছেন, “৭৫ বছর (75 Years) বয়স মানেই বুঝে নিতে হবে সময় এসেছে সরে দাঁড়ানোর, নতুনদের জায়গা করে দেওয়ার।”

সরসঙ্ঘচালকের এই কথার সূত্র ধরেই শুক্রবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ মোদীকে কটাক্ষ করে বলেছেন,“এ কেমন হোমকামিং! প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরতে না ফিরতেই আরএসএস প্রধান স্মরণ করিয়ে দিলেন, এ বছর ১৭ই সেপ্টেম্বর উনি ৭৫-এ পা দেবেন।” জয়রাম খোঁচা দিয়ে আরও বলেন,“তবে মোদীজিও পাল্টা বলতে পারেন—ভাগবত নিজেও তো ১১ই সেপ্টেম্বর ৭৫ বছর পূর্ণ করবেন। এক তীরেই কি দুই নিশানা!”

Advertisement

প্রয়াত সঙ্ঘ-চিন্তাবিদ মোরোপন্ত পিঙ্গলের কথা টেনে ভাগবত ওই মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,“মোরোপন্তজির মতে, ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলে যদি কেউ শাল পরিয়ে সম্মান জানায়, তার মানে সেই ব্যক্তির বোঝা উচিত—সময় এসেছে সরে দাঁড়ানোর।”

আডবাণীর বয়স এখন ৯৭। মুরলী মনোহর জোশীর বয়স ৯১। এরই মধ্যে এমনও কৌতূহল তৈরি হয়েছে নরেন্দ্র মোদী যদি সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন, তাহলে তাঁর পর কে হতে পারেন সম্ভাব্য মুখ। তাঁর বয়সই বা কত?

নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে মোদীর বয়সই সবচেয়ে বেশি। তাঁর বয়স এখন ৭৪। সেপ্টেম্বরে ৭৫ পূর্ণ করে ৭৬ বছরে পা রাখবেন মোদী। তাঁর পরই বয়সের দিক থেকে প্রবীণ নেতা হলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর বয়স ৭৪ বছর। ১০ জুলাই ৭৪ পূর্ণ হয়েছে তাঁর। তার পর রয়েছেন গিরিরাজ সিং। তাঁর বয়স ৭২ বছর। আর নিতিন গডকড়ীর বয়স ৬৮ বছর। বয়সে প্রবীণ দেখালেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এঁদের তুলনায় অনেক নবীন। তাঁর বয়স মাত্র ৬০ বছর। এঁদের মধ্যে রাজনাথ ও গডকড়ী দুজনের সঙ্গেই আরএসএস তথা নাগপুরের বোঝাপড়া খুব ভাল।

ভাগবতের কথা বিজেপিকে যে বিড়ম্বনায় ফেলেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এরই মধ্যে আবার অমিত শাহ এক অনুষ্ঠানে বলে বসেছেন, তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের পর বেদ, উপনিষদ পাঠ করে কাটিয়ে দেবেন। অনেকেই তা শুনে দুয়ে দুয়ে চার করাও শুরু করেছেন।

মোদীর বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “অন্যদের অবসরে পাঠিয়ে মোদী নিজে কি সেই নিয়ম মানবেন?” কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিংভি বলেন, “শুধু প্রচার নয়, আচরণও গুরুত্বপূর্ণ। ৭৫-র নিয়মে যাঁদের অবসর দেওয়া হয়েছিল, এখনকার নেতৃত্ব কি তার ব্যতিক্রম?”

বিজেপি ও আরএসএস ঘনিষ্ঠ সূত্রের অবশ্য দাবি, ভাগবতের এই মন্তব্য কোনো অবসরের ইঙ্গিত নয়, বরং মোরোপন্ত পিঙ্গলের জীবনদর্শনের প্রতি শ্রদ্ধা। আরএসএসে প্রধান পদে অবসরের বয়সসীমা নেই, বরং গুরুতর অসুস্থতার কারণেই পূর্ববর্তী নেতারা অবসর নিয়েছিলেন।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ