Greta Thunberg : ইসরাইলি বাহিনীর অপহরণের কবলে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের গাজামুখী জাহাজ
পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও অন্যান্য সমাজকর্মীরা ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজ নিয়ে গাজা অভিমুখে সমুদ্রপথে যাত্রা করেছিলেন। তবে তাদের সে জাহাজ এবার আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্রেটা নিজেই।
একটি পূর্ব রেকর্ডকৃত এক ভিডিওতে গ্রেটা বলেন, ‘আমার নাম গ্রেটা থুনবার্গ। আমি সুইডেন থেকে এসেছি। যদি আপনারা এই ভিডিওটি দেখেন, তাহলে জেনে নিন যে আমাদের আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী বা যারা ইসরাইলকে সমর্থন করে, তারা আটক করেছে। আমি আমার বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং সহযোদ্ধাদের অনুরোধ করছি যেন আমাদের দ্রুত মুক্ত করার জন্য সুইডিশ সরকারকে চাপ দেয়া হয়।’
এই ভিডিও প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) নিশ্চিত করে যে ইসরাইলি সেনারা তাদের গাজামুখী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’-এ প্রবেশ করেছে। এর আগে তারা জানায়, ‘জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে।’ টেলিগ্রামে এফএফসি আরও জানায়, ‘ম্যাডলিন’-এর সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কোয়াডকপ্টার ঘিরে রেখেছে এবং জাহাজের ওপর সাদা রঙের মতো পদার্থ ছিটিয়ে দিচ্ছে। রেডিওতে বিরক্তিকর শব্দ বাজানো হচ্ছে, আর যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।’
এই সহায়তা বহনকারী জাহাজটি ইতালির কাটানিয়া বন্দর থেকে ১ জুন যাত্রা শুরু করে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আমি ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যেন ম্যাডলিন জাহাজ গাজার দিকে না যেতে পারে।’
জার্মানভিত্তিক প্রেস কর্মকর্তা মাহমুদ আবু-ওদে এএফপি-কে জানান, ‘অ্যাকটিভিস্টদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।’
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নৌবাহিনী জাহাজটিকে দিক পরিবর্তন করতে বলেছিল, কারণ এটি ‘নিষিদ্ধ এলাকায়’ প্রবেশ করছিল। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘যাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবে। এই জাহাজে যে অল্প পরিমাণ সাহায্যসামগ্রী ছিল এবং সেলিব্রিটিরা যা খরচ করেননি, সেগুলো প্রকৃত মানবিক সাহায্যের পথেই গাজায় পাঠানো হবে।’