সদ্ভাবনা মঞ্চের সামসেরগঞ্জ পরিদর্শন, সম্প্রীতির বার্তা ও পুলিশ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ
বিশেষ প্রতিনিধি : মুর্শিদাবাদ সদ্ভাবনা মঞ্চের পক্ষ থেকে সামশেরগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত হিংসা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত উভয় সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ করা হয়। সদ্ভাবনা মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্য প্রসূন ভৌমিক, মানবাধিকার কর্মী ছোটন দাস, জামাআতে ইসলামী হিন্দের জেলা সভাপতি তথা সদ্ভাবনা মঞ্চের অন্যতম সদস্য মোঃ শামসুল আলম, মঞ্চের অন্যতম সদস্য লালবাগ রাধামাধব মন্দিরের পুরোহিত শ্রী বিশ্বজিৎ রায়, ডিএনসি কলেজের অধ্যাপক মসিউর রহমান (সেক্রেটারি হালকা), সমাজকর্মী রাজীব ক্রান্তি রায়, মানবাধিকার সংস্থা এপিসিআর এর জেলা আহবায়ক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী আব্দুল্লাহিল কাফি, সমাজকর্মী মানস ভট্টাচার্য, ধুলিয়ানের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সফিকুল হক, আব্দুল বাসির, কাজী মহম্মদ আলি প্রমুখ।
সদ্ভাবনা মঞ্চের পক্ষ থেকে এলাকার সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে শান্তি, সম্প্রীতি ও সোহার্দ্য বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। এলাকায় যাতে কোনো ভাবে শান্তি বিঘ্নিত না হয় উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ যৌথ ভাবে সচেষ্ট হোন সেই আহবানও জানানো হয়।
জঙ্গিপুর লোকসভার সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বিধায়ক আমিরুল ইসলাম সহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করা হয়। জনপ্রতিনিধিদের কাছে পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়, তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদর্থক ভূমিকা রাখছেন বলে জানিয়েছেন। মঞ্চের পক্ষ থেকে বেশকিছু বিষয় গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে হিন্দু মুসলিম শান্তি কমিটি গঠন, শান্তি বৈঠক, ধর্ম গুরুদের নিয়ে যৌথ বৈঠক, ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক, ক্ষতিগ্রস্তের আর্থিক সহায়তা প্রদান, জনমানসে আতঙ্ক দূরীকরণ ইত্যাদি।
সামসেরগঞ্জ থানায় ওসি শিব প্রসাদ ঘোষ ও জেলা পুলিশ সুপার আনন্দ রায়ের সাথে সাক্ষাৎ করা হয়। সাক্ষাতে মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা পালনের বিষয়ে আরো যত্নশীল হওয়া উচিত ছিল বলে জানানো হয়। প্রশাসন সক্রিয় থাকলে এই দুষ্কৃতীরা এই অপরাধ করতে পারতো না। এলাকার সমস্ত জায়গায় আতঙ্ক দুর করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত, শান্তি রক্ষার বিষয়ে প্রশাসন আরো তৎপর হতে হবে, নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে, সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা থেকে প্রশাসনকে বিরত থাকতে হবে, হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ঘর ছেড়ে যারা অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে তাদের যথাযথ নিরাপত্তা সহ ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি দাবি রাখা হয়েছে। ফেক নিউজ ও মিথ্যাচার করে যারা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। রাজ্য পুলিশ হোক বা কেন্দ্রীয় বাহিনী তারা যাতে হয়রানি ও আতঙ্কিত না করেন সেইদিকে দৃষ্টি রাখা।
পরে মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রেস মিট করা হয়। এই মিটে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে সকলকেই আহবান করা হয়।
