কলকাতা 

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! মার্চ মাসের তিন দিন কেটে গেলেও এখনো বেতন হয়নি কলকাতার মাদ্রাসার শিক্ষকদের! লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীকে অপদস্থ করার খেলা?

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত পরিচালিত আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত কলকাতার মাদ্রাসাগুলির শিক্ষকদের রবিবার পর্যন্ত বেতন হয়নি। অথচ এই কলকাতা শহরে যতগুলি স্কুল রয়েছে সব স্কুলের শিক্ষকদের বেতন হয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল মাসের প্রথম দিনে শিক্ষকরা বেতন পাবেন। সেই শিক্ষক সমাজকে কারা এবার প্রথম দিন তো দূরের কথা তিন দিন কেটে যাওয়ার পরেও বেতন দিতে পারলেন না সে প্রশ্ন সামনে আসতে শুরু করেছে? লোকসভা নির্বাচনের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি খারাপ করার লক্ষ্যে এই কাজ করা হয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহাল মনে করছে!

প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একইসঙ্গে এই দফতরের প্রধান সচিবের পদে রয়েছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব পি বি সেলিম। এরপরও কেন অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষকদের অবহেলা করা হলো সে প্রশ্নটা সামনে আসতে শুরু করেছে। মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার দায়িত্ব যে সংস্থার বা যে আধিকারিকের তার দায় কোনভাবেই এড়ানো যাবে না।

Advertisement

বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কারা মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। মাদ্রাসার শিক্ষক সমাজের পক্ষে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে কিছু আধিকারিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে সংখ্যালঘু সমাজের কাছে এবং সচেতন নাগরিকদের কাছে খারাপ করার লক্ষ্যে এবারে আর্থিক সংকট না থাকা সত্ত্বেও মাসের প্রথম দিনে বেতন দিল না। এমনকি পেনশন দেওয়া হয়নি বলেও কলকাতার ডিআই অফিসের আধিকারিক একান্তে স্বীকার করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষকদের পেনশন আটকে গেছে কেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, এই ধরনের আধিকারিক বা নামধারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জনমানষে হেয় করার চেষ্টা করছেন ।

কলকাতা প্রবীণ শিক্ষক মওলানা আব্দুল ওহাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন,এই ধরনের মানুষজন আপনার সঙ্গে থেকে পিছন থেকে অন্য দলকে প্রতিষ্ঠিত করে যাচ্ছেন। যেমন বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের টিকিট পেয়ে এবং জিতে টাকার লোভে বা পদের লোভে তারা বিজেপিকে সুযোগ করে দিচ্ছেন। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসিদের অবস্থা দেখে তাই মনে হয়। তিন দিন হয়ে যাওয়ার পরও তাদের কোন হেলদোল নেই।  তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ এ বিষয়ে একটু খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা করলে মাদ্রাসার শিক্ষক মহল আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতে খুব বেশি আর দেরি নেই। এরই মাঝে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন আটকে যাওয়াটা মমতা সরকারের কাছে বিরম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আমরা যেটুকু খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি এর নেপথ্যে কোন আর্থিক সংকট নেই আধিকারিকদের উদাসীন্যতাই এই ঘটনা ঘটেছে। যে আধিকারিক এর অবহেলায় এই কাজটি ঘটলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত কড়া পদক্ষেপ করা। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ না হয়।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ