ইডির গ্রেফতারির ক্ষমতায় লাগাম পরাল শীর্ষ আদালত
বাংলার জনরব ডেস্ক : ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ক্ষমতায় লাগাম পরাল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক যুগান্তকারী নির্দেশে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, সরকারি অর্থ তছরুপ আইনে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই আইনে এতদিন ইডি-র হাতে অসীম ক্ষমতা ছিল। এবার সেই ক্ষমতার ডানা ছেঁটে দিল শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পিএমএল আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী কোনও অভিযুক্তকে ইডি গ্রেফতার করতে পারবে না। যদি ওই অভিযুক্ত বিশেষ আদালতের তলবে সাড়া দিয়ে সেখানে হাজিরা দিয়ে থাকেন। তাহলে ইডিকে তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে ওই আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলেছে, অভিযোগের বিষয়টি বিশেষ আদালতে ওঠার পর ১৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে তাঁকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা থাকবে না ইডি কিংবা তার আধিকারিকদের। সেক্ষেত্রে বিচারাধীন আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, পিএমএলএ-তে বর্ণিত ১৯ নম্বর ধারায় ইডির হাতে গ্রেফতারির অপরিমিত ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর ‘যত দ্রুত হতে পারে’ তার কারণ জানাতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ জমা না দেওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার না করা হয়ে থাকলে তাঁকে পরেও গ্রেফতার করতে পারবে না। বিশেষ আদালত প্রথমে সমন জারি করবে। এবং অভিযুক্ত যদি তার জবাব দেন, তাহলে তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে না ইডি।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এও বলা হয়েছে, ইডি যদি কোনও ব্যক্তিকে হেফাজতে নিতে চায়, তাহলে বিশেষ আদালতের সমনে সাড়া দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে ওই আদালতে আবেদন করতে হবে। বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভায়ানের বেঞ্চ এদিন এই বলে গ্রেফতারির ক্ষমতায় ডানা ছেঁটে দিয়েছে ইডি-র। সৌজন্যে দা ওয়াল।