সন্দেশখালিতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাতের অন্ধকারে সন্দেশখালির বাসিন্দা এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় এফআইআর রুজু করে তদন্তে নামল পুলিশ। মহিলা অভিযোগপত্রে নাম নিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক-সহ মোট পাঁচ জনের। গত রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে গণ্য করার খবর পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, এফআইআরে নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা দিলীপ, তাঁর ছায়াসঙ্গী সৈকত দাসদের।
সন্দেশখালির মাঝেরপাড়া এলাকায় এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। মহিলার স্বামী সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মহিলা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকেন। ধস্তাধস্তিতে তিনি পাশের পুকুরে পড়ে যান। মহিলার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। মহিলার দাবি, তখন পালায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়েরা মহিলাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। রাতেই সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানান মহিলা। সকালে সেই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই মহিলাকে সন্দেশখালি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এর পর তাঁকে বসিরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হওয়ার কথা। বসিরহাট মহকুমা আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এ ব্যাপারে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালির বাসিন্দা রেখা পাত্র বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শাহজাহান বলেছিল, সন্দেশখালিতে প্রচুর শেখ শাহজাহান তৈরি আছে। এবং সেটাই ঠিক। এই দুষ্কৃতীরা আজ আমাদের মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করছে। ওই মহিলার কপাল ভাল যে, চিৎকার-চেঁচামেচিতে গ্রামের লোক ছুটে আসে এবং দুষ্কৃতীরা পালায়। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এই সব করছে।’’
অন্য দিকে, সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তাই বিজেপি দিশাহারা হয়ে গিয়েছে। ফলে মহিলাদের দিয়ে এ সব অভিযোগ করাচ্ছে। আসলে দিলীপ মল্লিক খুব ভাল সংগঠক। ভাল কাজ করছেন। যেটা বিজেপির পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। সেই কারণেই দিলীপ মল্লিকের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ।’’ সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দবাজার।