কলকাতা 

Modi Vs Mamata : চার রাজ্যের ফলে চাপে পড়লো তৃণমূল এবং মমতা সরকারের কাছে অশনী সংকেত !

শেয়ার করুন

সেখ ইবাদুল ইসলাম :  চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে তিন রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি আর একটিতে কংগ্রেস । হিন্দি বলয়ে যাকে গোবলয় বলা হচ্ছে সেই চত্বরে এখন বিজেপি অপ্রতিরোধ্য । আগামী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি যে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । চার রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার যেমন বিরোধী দল হিসাবে কংগ্রেসের অস্তিত্বের সংকট শুরু হয়েছে একইভাবে অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলিও ব্যাপক সংকটে পড়েছে । চার রাজ্যের ভোটের ফল আমাদের রাজ্যেও পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এখানে এমনিতেই হিন্দু ভোটের সিংহভাগ অংশ কম পক্ষে ৪০ শতাংশ বিজেপি দিকে রয়েছে , বাকী বিশ থেকে ২৫ শতাংশ তৃণমূলের দিকে , আর মুসলিম ভোটের সিংহভাগ রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে । এই ভোটের ফল দেখার পর এই রাজ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তা আরও যে বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।

হিন্দু ভোটের আরও বেশ কয়েক শতাংশ যদি প্রভাবিত হয়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে রাজ্যের অধিকাংশ আসন বিজেপির দখলে চলে যেতে পারে । এছাড়া নরেন্দ্র মোদীর সামনে এখন যেহেতু কোনো চ্যালেঞ্জ নেই তাই এবার হয়তো কেন্দ্রীয় এজেন্সী জোর কদমে কাজ করতে শুরু করবে । আর এতে সংকটে পড়বে তৃণমূল নেতারা আর মমতা সরকার । শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে এই বার্তা দিযে আসছেন । আমাদের মনে রাখতে হবে নিয়োগ দূনীর্তি থেকে শুরু করে যেসব দূনীর্তির তদন্ত ইডি -সিবিআই করছে সেগুলি নিয়ে যদি নতুন করে কেন্দ্রীয় এজেন্সীগুলি ঝাঁপিয়ে পড়ে তাতে বিপদ বাড়বে মমতার । আর এটা মোদী সরকার করবেই । কারণ তেলেঙ্গানা থেকে মোদী এবং বিজেপি একটা শিক্ষা পেয়েছে । যেভাবে তেলেঙ্গানাতে ইডি-সিবিআইয়ের দৌরাত্ম বাড়ছিল তাতে কেসিআরের জনপ্রিয়তা অটুট ছিল যখনই বিষয়টি চেপে যাওয়া হলো তখনই হালে পানি পেল কংগ্রেস । কারণ কংগ্রেস প্রচার করতে শুরু করলো কেসিআরের সঙ্গে বিজেপির গোপন সমঝোতা রয়েছে । আর এই প্রচারের ফলে মুসলিম ভোট হাতছাড়া হলো । এমনকি মিমের ভোট অনেকটাই কমেছে , আসনও কমেছে । কারণ জনতা মনে করতে শুরু করেছিল কেসিআরের সঙ্গে বিজেপি যোগাযোগ রয়েছে ।

Advertisement

তাই পশ্চিমবাংলার মোদী সরকার যদি দূনীর্তি ইস্যু নরম মনোভাব নেয় এবং ইডি-সিবিআই ভালোভাবে কাজ না করে তাহলে বিজেপির কমিটেড ভোটও হাতছাড়া হবে এবং এই রাজ্যের নতুন করে বামেরা আবার জমি পাবে । কারণ বিজেপি-তৃণমূল ভাই ভাই এই প্রচারকে যদি এই রাজ্যের মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলাতে পারে বাম-কংগ্রেস তাহলে আগামী দিনে কেসিআরের মতো মমতারও পরিণতি হতে পারে । ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের একটা বড় অংশ মমতার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে । তাই আমরা যে রাজনৈতিক সমীকরণের কথা এবং পূর্বাভাসের কথা বলছি তা বিজেপির নেতারা জানেন না এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আসলে মোদী-শাহ এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন । চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল সামনে আসনে আসার পর মোদী-শাহর কাছে আর কাউকে তোয়াজ করার কথা ভাবতে হবে না । আর এখানে তৃণমূলের কাছে অশনী সংকেত !


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ