কলকাতা 

CV Ananda Bose Vs Firhad Hakim: ফিরহাদ কেন মেয়র একই সঙ্গে মন্ত্রী জানতে চেয়ে নবান্নে চিঠি রাজ্যপালের ! এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ! ফিরহাদকে সরানোর ছক ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ফিরহাদ হাকিম কেন একই সঙ্গে কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রী তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । রাজ্যপাল বনাম নবান্নে যে লড়াই চলছে এই ঘটনায় তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । ফিরহাদ হাকিমের পদ নিয়ে শুধু প্রশ্ন তোলা নয়, সরাসরি নবান্নে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন ফিরহাদ কি দুটি পদে বসে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ? রাজভবন সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই এই বিষয়ে উত্তর জানতে চেয়ে নবান্নে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এখনও নবান্ন থেকে কোনও জবাব আসেনি। যদিও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমি রাজ্যপালের কোনও বক্তব্যে পাল্টা মন্তব্য করতে রাজি নই। এর আগে জগদীপ ধনখড়ও একই ভাবে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাই আমি কী ভাবে মন্ত্রী এবং মেয়র পদে রয়েছি তা আমার মুখ্যমন্ত্রী জানলেই হবে, রাজ্যপালের না জানলেও চলবে।’’ অন্যদিকে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে রাজ্যপালকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘‘রাজ্যপাল সঠিক প্রশ্নই করেছেন। আমাদের সংবিধানে তিনটি স্তরে সরকার রয়েছে। কেন্দ্র, রাজ্য এবং স্থানীয় স্তরে। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী যদি স্থানীয় প্রশাসনের অংশ হন, তাহলে তা স্বায়ত্তশাসনের অধিকারে হস্তক্ষেপ হয়। আমি এই বিষয় নিয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছিলাম। যা এখন শুনানির অপেক্ষায়।’’

২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতা পুরসভার মেয়র হন ফিরহাদ। সেই সময় রাজ্যের পুরমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০১১ সাল থেকেই তাঁকে এই দফতরের দায়িত্বে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তাঁর দফতর বদল হলেও মন্ত্রী পদে রয়ে গিয়েছেন তিনি। পরিবহণ এবং আবাসন মন্ত্রীর দায়িত্বের সঙ্গে কলকাতার মেয়র পদও রয়েছে তাঁর কাছেই। ২০২২ সালে তাঁর হাত থেকে আবাসন দফতর নিয়ে আবারও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে পরিবহণ দফতরও ছাড়তে হয় তাঁকে। মন্ত্রিসভায় বার বার তাঁর দফতর বদল হলেও, গত প্রায় চার বছর তিনি কলকাতা মেয়রের পদে রয়েছেন। তাঁর এই দু’টি পদে থেকে যাওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।তবে ফিরহাদই নয়, এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ও একই ভাবে রাজ্যের মন্ত্রী এবং মেয়র পদে ছিলেন। ২০১০ সালে তৃণমূল দ্বিতীয় বার কলকাতা পুরসভা দখল করলে মেয়র হন শোভন। ২০১১ সালের বেহালা পূর্ব থেকে জিতে প্রথম বার বিধায়ক হলেও, তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। কিন্তু ২০১৬ সালে শোভন দ্বিতীয় বার বিধানসভায় জিতলে তাঁকে আবাসন এবং দমকল দফতরের মন্ত্রী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মেয়র এবং মন্ত্রী দুই পদ থেকেই ইস্তফা দেন শোভন। সেই সময় বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তড়িঘড়ি পুর আইন সংশোধন করে মেয়র পদে বসানো হয় ফিরহাদকে।

Advertisement

এদিকে, এই ধরনের কথা জানতে চেয়ে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে মনোনীত রাজ্যপাল চিঠি দিতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । তবে একটা মহল অবশ্য মনে করছে ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র পদ থেকে সরাতেই কী এই উদ্যোগ ? নেপথ্যে রহস্য আসলে কী ? তা কয়েক মাসের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে । দীর্ঘদিন ধরে ফিরহাদকে মেয়র পদ থেকে সরাতে দলের একটা অংশ চেষ্টা করে যাচ্ছে , এবার কী ?? রাজ্যপালের এই চিঠির পর কী হয়? সেটাই এখন দেখার।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ