পুলিশের ঘেরাটোপে আতিক আহমেদ খুনের পর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব
বাংলার জনরব ডেস্ক : উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে পুলিশের সামনেই আততায়ীদের হাতে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফ খুন হন। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে তো বটে ও সমগ্র বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অপরাধী যেমনই হোক পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কিভাবে দুষ্কৃতীরা হামলা করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনেক কথা বলেন কিন্তু তার পরিচালিত একটি রাজ্যে যেভাবে পুলিশের হেফাজতে বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু হল তা নিয়ে দেশ তো বটেই বিশ্বের সামনেও মানুষ ভারতবর্ষের মাথা হেট হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব টুইটে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
অখিলেশের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে অপরাধের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। টুইটে তিনি লিখেছেন, “দুষ্কৃতীদের দুঃসাহসিক আচরণ সব ধরনের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। পুলিশের ঘেরাটোপে কড়া নিরাপত্তায় থাকা সত্ত্বেও যখন প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে অনায়াসে খুন করা হচ্ছে, তখন সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। অনেকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন পরিবেশ তৈরি করেন যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।”
Advertisement:
শনিবার আতিক এবং আশরফকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেই তাঁরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। আচমকাই দু’জনের মাথায় করা হয় গুলি। দিন দুয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন আতিকের পুত্র আসাদ ও তাঁর সঙ্গী গুলাম। এ বার ছেলের শেষকৃত্যের দিন পুলিশের সামনে খুন হয়ে গেলেন আতিক ও তাঁর ভাই। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালের পথে হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আতিক এবং আশরফ। সেই সময় পিছন থেকে আচমকা ভিড়ের মধ্যে কয়েক জন তাঁদের মাথায় গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা দু’জনই। তার পরেও তাঁদের ঘিরে ধরে গুলি চালাতে চালাতে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে থাকেন আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
