DA News : মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ৬ এপ্রিল কর্মবিরতি ডাক সরকারি কর্মচারীদের একাংশের
বাংলার জনরব ডেস্ক : মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তিকর মন্তব্য এর পরিপ্রেক্ষিতে আবার কর্মবিরতির ডাক দিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আগামী ৬ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। মূলত দুটি সংগঠন কর্ম বিরতির ডাক দিলেও সব সরকারি কর্মচারী সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে বকেয়া ডিএ মেটানো, শূন্যপদে নিয়োগ-সহ একাধিক দাবিতে শহিদ মিনার ময়দানে ‘মহাসমাবেশ’-এর ডাক দেওয়া হয়েছিল। ওই সমাবেশে যোগ দিয়ে বাম-কংগ্রেস নেতারা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান। পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। ওই সমাবেশ শেষ হওয়ার পর বৈঠকে বসেন সংগঠনের নেতারা। সেখানেই ঠিক হয় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন সরকারি কর্মসূচিরা। ওই প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবেই ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে ডিএ-র দাবিতে বিক্ষোভরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ‘চোর-ডাকাত’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বলেছিলেন, ‘‘এরা সব চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল। সেই চোর-ডাকাতগুলোই গিয়ে বসে আছে ডিএ-র মঞ্চে।’’ মু্খ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে শোরগোল পড়ে। বিরোধী দলগুলি একসুরে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আগে সরকারি কর্মচারীদের কুকুর-বেড়াল বলেছিলেন। এখন চোর-ডাকাত বলছেন! খেতে দিতে না পারেন, সম্মান তো দিন! এরাই তো আপনার সরকার চালায়।”
সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের সরকারের কর্মচারীদের চোর-ডাকাত বলে দাগিয়ে দিতে পারেন, তাঁর তালজ্ঞান হারানোর লক্ষণ স্পষ্ট!’’ কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘সরকারি কর্মচারীদের সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এমন মন্তব্য কল্পনাই করা যায় না!’’
এদিন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সভা সবাই উপস্থিত হয়ে সিপিএম নেতা মোহাম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী তীব্র ভাষায় তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন । এরপরই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেন আগামী ৬ই এপ্রিল কর্ম বিরতির ডাক দেওয়া হবে। মনে করা হচ্ছে এই কর্ম বিরতিতে এই রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি কর্মচারী যোগ দিতে পারেন। এই কর্ম বিরতির ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
