কলকাতা জেলা 

রামনবমীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র হাওড়ার ক্যারি রোড, বিরোধীদলের মিছিল যেখানে আটকানো হয়? রামনবমীর মিছিল কোন উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দিল পুলিশ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : রামনবমীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার ক্যারি রোড। আর এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ তথা হাওড়া পুলিশের ব্যর্থতার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। মুসলিম অধ্যুষিত হাওড়ার ক্যারি রোডের কাজীপাড়ার ভিতর দিয়ে কিভাবে রামনবমী মিছিলের অনুমতি পুলিশ দিয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বারবার বলছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেখানে কোন কোন দায়বদ্ধতা থেকে পুলিশ ওই রাস্তা দিয়ে মিছিল করার অনুমতি দিল সে প্রশ্নটা সামনে আসতে শুরু করেছে! যেসব ছবি ভিডিও বাংলার দপ্তরে এসেছে তা থেকে স্পষ্ট যে একটা বড় অশান্তি করার জন্য ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে ওই এলাকার বাসিন্দা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা কোনরকম প্ররোচনা পাওয়া যায়নি সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তর থেকে ঢিল ছড়া দূরত্ব ক্যারি রোড এর মধ্যে যে ঘটনা ঘটলো তার নিন্দা করার কোন ভাষা নেই।

দেখা যাচ্ছে রামনবমীর মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশ পরবর্তীকালে এসে শুধুমাত্র বাধা দিয়েছেমাত্র কাউকে গ্রেপ্তার করেছে কিনা ভিডিওতে স্পষ্ট হয়নি। যদিও হাওড়ার ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ধর্নামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রামনবমীর জন্য নির্ধারিত রাস্তায় না গিয়ে অন্য রাস্তা ধরে যায় মিছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র আক্রমণা, ‘বারবার একই চেষ্টা। আজও হাওড়াতে দাঙ্গা করেছে। শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমীর মিছিল করুন, বারবার বলেছি। আমাদের দলকেও তাই বলা ছিল। একদিকে অন্নপূর্ণ পুজো, অন্যদিকে রমজান চলছে। তাই সবাইকে বলা ছিল। কিন্তু বাইরে থেকে গুণ্ডা এনে ঝামেলা তৈরির চেষ্টা করেছে। মিছিল করতে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি, কিন্তু তরোয়াল নিয়ে বুলডোজার নিয়ে মিছিল করার পারমিশন কে দিয়েছে ? হাওড়ার মিছিলে বুলডোজার ব্যবহার করেছে খবর পেয়েছি।’

Advertisement

যার পরই সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে আসে। রিপ্লাই তোমাদের দেব। রিফিটিং রিপ্লাই। মিছিলের রুট বদলে যেখানে পারমিশন ছিল না সেই আনঅথোরাইজড রুটে গেছো। ইচ্ছা করে একটি কমিউনিটিকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য এসব করা হয়েছে। হামলা করে যদি কেউ ভাব মামলা করে রেহাই পাবে, তাহলে জেনে রাখো, এমন একদিন আসবে জনতার আদালতে যখন টিকবে না অন্যায়। আজকের ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি দাঙ্গাকারীদের দেশের শত্রু মনে করি। হাওড়া প্রথম থেকেই যেন ওদের টার্গেট। হাওড়ার সঙ্গে পার্ক সার্কাস আর উত্তরবঙ্গে ইসলামপুর, চোপড়াকে অশান্ত করা যেন বরাবরই ওদের টার্গেট।’

এদিকে, এদিন হাওড়ার রামরাজাতলায় রামনবমীর মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, ‘উনি অশান্তির কারণ।’ পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘গতবার শোভাযাত্রায় যেখানে পাথড় ছোড়া হয়েছিল, এবারেও ঠিক একই জায়গাতে যাবতীয় ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের নেতাদের উস্কানিমূলক কথাবার্তা আর পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যর্থতার জেরেই বারবার এমন ঘটনা ঘটছে।’

প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলবেন কি বিরোধীদল যখন কোন জায়গায় মিছিল মিটিং করতে যায় সেখানে আপনার পুলিশ বাধা দেয়? অথচ রামনবমীর মিছিল হাওড়ার কাজিপাড়ায় ঢুকে গেল আপনার পুলিশ কোন কারণে নিরব ছিল ? রামনবমীর মিছিল কারীদের শাস্তি দেওয়ার আগে আপনার উচিত আপনার পুলিশকে শাস্তি দেয়া, কড়া দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। কারণ পুলিশের ব্যর্থতার জন্যই রামনবমীর মিছিল কাজীপাড়াতে ঢুকতে পেরেছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ