জেলা 

বারাসাতে জহরকুঞ্জ মেডিসিনাল পার্কে গাছ পরিচর্যায় কর্মাধ্যক্ষ ফারহাদ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

ইসরাফিল বৈদ্য, বারাসাত :  সবুজায়নের লক্ষ্যে পরিবেশবিদরা তাদের নিজস্ব মতামত পোষণ করলেও প্রকৃতিকে অবহেলায় ঠেলে দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে একশ্রেণীর মানুষ ভুক্তভোগী। জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং পৃথিবীতে মানুষের বাসযোগ্য রাখতে বনাঞ্চল বিস্তৃত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে অবিচলভাবে কাজ করা অত্যন্ত প্রশংসারযোগ্য। বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বী প সুন্দরবন এলাকায় প্রচুর সংখ্যক গাছ ও প্রাণীদের বাসস্থান। বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমবাংলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশ কতকগুলি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল।

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একাধিক প্রকৃতিবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা ও গাছ লাগানো সম্ভব হয়। বিভিন্ন জায়গাতে মেডিসিনাল পার্ক এবং ইকো ট্যুরিজম পার্ক,ইকো আরবান ভিলেজ,অভয়ারণ্য ইত্যাদি সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি দেখা গেছে বাংলার অন্যতম বৃহৎ জেলা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ এর নেতৃত্বে জেলা বনবিভাগ অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। বিগত দিনে দেখা গেছে আমফান, ইয়াস এর মতো ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও জেলা নেতৃত্বের দক্ষ প্রচেষ্টা ও রাজ্য সরকারের বন বিভাগের সহায়তায় খুব ভালোভাবেই কাজ করে চলেছে। উল্লেখ্য বুধবার,জেলার প্রাণকেন্দ্র বারাসাতে অবস্থিত জহরকুঞ্জ রেঞ্জ অফিসে উপস্থিত হয়ে কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ মেডিসিনাল পার্কের গাছ যেমন (বাসক, কালমেঘ, অ্যালোবেরা বেলেতোড়া, হাড়ভাঙ্গা,কারি পাতা,পুদিনা,) ইত্যাদি গাছকে পরিচর্যা রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে দীর্ঘ সময় খোঁজ খবর করেন।

Advertisement

তিনি বলেন বাংলার নব রূপকার মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং রাজ্যের বনমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে জেলার আধিকারিকদের সহায়তায় নিত্যনৈমিত্তিক এই ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে উদ্ভিদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজন। আগামী প্রজন্মকে সবুজ পৃথিবী উপহার দেওয়ায় বর্তমান সময়ের মানুষের দায়িত্ব বলে কর্মাধ্যক্ষ উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন জেলার সমস্ত আধিকারিক ও মালিরা যেভাবে কাজ করে বনবিভাগকে সমৃদ্ধ করছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। জহর কুঞ্জ রেঞ্জ অফিসে আধিকারিক বিবেক ঝাঁ জানায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সাহেবের নেতৃত্বে অত্যন্ত পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে সমস্ত রকমের কাজ করা হয়ে থাকে।

জহরকুঞ্জ রেঞ্জ অফিস সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অফিসগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বনদপ্তর যেভাবে কাজ করছে তার ফলেই এত সুন্দর মেডিসিনাল পার্ক তৈরি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। বারাসাত মেডিসিনাল পার্কে কর্মাধ্যক্ষে’র কর্মক্রিয়ায় সঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ দে, গোপাল ব্যানার্জি, চৈতালি কাঞ্জিলাল,প্রদীপবাবু,আমির হামজা, প্রমুখ,


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ