কলকাতা 

SSC Scam : “হঠৎ করে এমন কী হল যে চন্দন দোষী হয়ে গেল?” সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে সিবিআই কে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করলো আদালত। এদিন, আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সিকে প্রশ্ন করেন,”ন’মাস লাগল গ্রেফতার করতে? এটাই কি সিবিআইয়ের তদন্তের মান?” নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম কিংপিন ‘বাগদার রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। এই মামলার শুনানিতেই বিচারক এই প্রশ্ন তোলেন।

এদিন ‘সৎ রঞ্জনে’র জামিনের বিরোধিতা করে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে চন্দনের ভূমিকা আছে। চন্দন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে নিজের অ্যাকাউন্টে রাখতেন। সেখান থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে দিতেন। চন্দন কার থেকে টাকা নিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন, সেগুলো এখনও জানা দরকার। তাই চন্দনের হেফাজত গুরুত্বপূর্ণ।”

Advertisement

সিবিআইয়ের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারকের প্রশ্ন, “৪ মাস ধরে চন্দনকে বাইরে রেখেছিলেন। বলেছেন, ও তদন্তে সহযোগিতা করেছে। ৯ মাস সময় লাগল চন্দনকে দোষী প্রমাণ করতে?” বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হঠৎ করে এমন কী হল যে চন্দন দোষী হয়ে গেল? এখন বলছেন ও সহযোগিতা করছেন না। তাহলে এত প্রমাণ পেলেন কীভাবে? আপনারা যা বলছেন সেটা আপনাদের কথায় প্রকাশ পাচ্ছে না।”

সিবিআইয়ের দাবি, “চন্দন অনেক কিছু চাপা দিতে চাইছে। সম্পূর্ণটা বলছে না। মিডলম্যানের কাছ থেকে ৫-১৫ কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে।” ফের বিচারপতি বলেন, “চারটে নোটিস পাঠিয়েছেন। ওকে বাইরে থাকতে দিয়েছেন আপনারাই। হঠাৎ করে আপনাদের মনে হল একে জেলে পুড়তে হবে।”

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ