জেলা 

ভাঙড়ের তৃনমূল অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিমের বাড়ির লক্ষ্য করে গুলি বোমাবাজির অভিযোগ, অভিযোগের তীর তৃণমূল নেতা কাইজার অনুগামীদের দিকে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে মঙ্গলবার সারা রাত ধরে চলল গুলিবৃষ্টি ও বোমাবাজি। জানা গেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই বোমাবাজি হয়েছে।

অভিযোগের তির দলেরই এক নেতার দিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আতঙ্কিত তৃণমূল (TMC) নেতা।

Advertisement

ভাঙড়ের বাসিন্দা ফজলে করিম। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তিনি। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কোনওটা লাগে বাড়ির দেওয়ালে। কোনওটা আবার জানলা দিয়ে গিয়ে লাগে বিছানায়। সেই সঙ্গে চলে বোমাবাজি। তবে কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ফজলে করিম। রাতেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

ফজলে করিমের অভিযোগ, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা কাইজার। এদিন কান্নায় ভেঙে পড়ে ফজলে করিম বলেন, “কিছুদিন আগে আমি কাইজারের সঙ্গে আইএসএফ এর যোগের প্রমাণ দিয়েছিলাম। দলের কাছে বিচারও চেয়েছিলাম। সেই কারণেই কাইজারের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে আমার বাড়িতে।” এর আগেও দুবার কাইজার তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ফজলে করিমের।

এদিন ফজলে করিম বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাইজারের বিচার চাই।” এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যার বাড়িতে গুলি চলেছে, তিনি আতঙ্কিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। যে অভিযোগ উঠছে সেটা ঠিক কি না, প্রথমে তা দেখতে হবে। যদি সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে পুলিশ দল-মত না দেখে পদক্ষেপ করবে।”

ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, “তৃণমূল নেতা সব থেকে বেশি খুন হয়েছেন ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন তৃণমূলের হাতেই।”

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ