কলকাতা 

অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরীর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রিসভা, তারপরেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষা সচিবকে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগে অতিরিক্ত শূন্য পদ পূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভায় আর এই সিদ্ধান্তকেই কার্যকরী করার জন্য শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে আইনি পরামর্শ নিতে বলা হয়েছিল বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উল্লেখ্য আজ কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে শিক্ষা সচিব স্বীকার করে নেন অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির নেপথ্যে ছিল শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ। দুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে চাওয়া হয়েছিল এই নির্দেশ কে দিয়েছিলেন তা জানার জন্য শিক্ষা সচিব কে হাইকোর্টে তলব করেছিলেন। একই সঙ্গে বিষয়টিকে তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও গতকাল এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায়। ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে কার্যকরী করার জন্য নির্দেশ দেয়। এর ফলে শিক্ষা সচিবের হাইকোর্টে হাজিরা দেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। যদিও শেষ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের এই মামলার শুনানিতে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়ার আগেই শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরীর নেপথ্যে মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছিল। একইসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি এই কাজ করেছিলেন। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরেই একটি সংবাদ মাধ্যমকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,“ক্যাবিনেট সিদ্ধান্তর পর অবশ্যই আমি সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলাম।”

Advertisement

এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য জানান, আইনি বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। কিছু বলার থাকলে তা উপযুক্ত জায়গা থেকেই বলবেন। তাঁর কথায়, “মাননীয় বিচারপতি আজ কী জানতে চেয়েছেন বা তাঁর কাছে শিক্ষাসচিব কী জানিয়েছেন, সব আদালতে হয়েছে। আইনি বিষয়। এ সবের আইনি ব্যাখ্যা থাকে। আমার এ নিয়ে এখন কিছু বলার নেই। কিছু বলার হলে নিশ্চয়ই উপযুক্ত জায়গা থেকে বলা হবে।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাই কোর্টের বিচারপতি শিক্ষাসচিবের কাছে জানতে চান, কাদের নির্দেশে নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কমিশনের নিয়ম মোতাবেক বেআইনি নিয়োগ যে করা যায় না, সে বিষয়ে শিক্ষাসচিব অবহিত কি না। প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষাসচিব সম্মতিসূচক উত্তর দেন। জানান যে, উপযুক্ত স্তর থেকে নিয়োগের বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো প্রশাসনের তরফে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল, আইনজীবী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয় বলে তিনি জানান।

 

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ