দেশ 

ইনসাফের প্রত্যাশায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র দুই অধিকর্তা এখন সুপ্রিম কোর্টের দরজায়

শেয়ার করুন
  • 10
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি  : স্বাধীন ভারতে তো বটেই বিশ্বে কোথাও এমনটা হয়েছে বলে খুব বেশি শোনা যায়নি । দেশের একমাত্র নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে । ইনসাফ অর্থাৎ ন্যায় পাইয়ে দেওয়া যে সংস্থার কাজ সেই সংস্থাটিকেই নরেন্দ্র মোদীর আমলে বিচার চাইতে আদালতে যেতে হচ্ছে যা স্বাধীন ভারতে এবং গণতান্ত্রিক ভারতে লজ্জাজনক ও নজীরবিহীন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হবে।

এক কথায় বলা যেতে পারে সিবিআই ঘুষকাণ্ডের অভিযোগে নয়া মোড়। নিজেদের মধ্যে বিবাদের জেরে ছেঁটে ফেলা হল দুই শীর্ষকর্তা ডিরেক্টর আলোক ভার্মা ও জয়েন্ট ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে। অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। আপাতত সিবিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা হলেন জয়েন্ট ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও।
শেষ কিছুদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্র রয়েছেন সিবিআই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা। তার বিরুদ্ধে তেলেঙ্গানার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন ডিরেক্টর অলোক ভার্মা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আলোকের বিরুদ্ধে পাল্টা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাকেশ। এই অভিযোগের বহরে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে সিবিআইয়ের। তার জেরেই তাদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই আস্তানাকে সাসপেন্ড করতে উদ্যত হন অলোক ভার্মা। গ্রেপ্তার করা হয় আস্তানা ঘনিষ্ঠ অফিসার দেবেন্দ্র কুমারকে। তাঁকে দশদিনের হেফাজতে চায় সিবিআই।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেছে কংগ্রেস। গুজরাত মডেলকে গুরুত্ব দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তিনি আরও বলেন, রাফাল দুর্নীতির তদন্ত করতে চাওয়া সিবিআই ডিরেক্টরকে ইচ্ছাকৃতভাবেই সরানো হয়েছে। তবে নিজের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা। মঙ্গলবারই দিল্লি সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করা হয় সেজন্যও আবেদন জানিয়েছেন রাকেশ।

Advertisement

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছেন ‘সিবিআই এখন বিবিআইয়ে পরিণত’ হয়েছে । বিবিআই অর্থাৎ বিজেপি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ । সিবিআই-র গৃহযুদ্ধে গেরুয়া শিবিরকেই বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও এই ধরনের ঘটনাকে খুব দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি।


শেয়ার করুন
  • 10
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

12 − one =