সাহিত্যে পাঠ ও বিশ্লেষণের বিরল সাক্ষী থাকল কলকাতা ইলিয়ট রোডের সান্ধ্য সাহিত্য আড্ডা
সংবাদদাতা, বাংলার জনরব: ৪ জুন ২০২২ বাংলা সাহিত্যের বিরল সাক্ষী থাকল কলকাতা। আর অভূতপূর্ব ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা ইলিয়ট রোড স্থিত পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের অন্যতম আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলীর কার্যালয়ে। এতদিন জনমানসে আমজাদ আলী সাহেব একজন যশস্বী আইনজীবী তথা বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ হিসেবেই সুপরিচিতি লাভ করেছেন। কিন্তু এদিন তিনি একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা সাহিত্য আলোচক হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছেন নিউজ পোর্টাল বাংলার জনরবের সাহিত্য বিভাগ আয়োজিত তাঁরই কার্যালয়ে সাহিত্য সন্ধ্যায়।
প্রাসঙ্গিক আলোচনা ও সাহিত্য পাঠের প্রাঞ্জল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘তালাশনামা’ উপন্যাসের বহু চর্চিত লেখক ইসমাইল দরবেশ, বিভিন্ন প্রকাশনা দ্বারা প্রকাশিত প্রায় দু ডজন উপন্যাসের লেখক জারিফুল হক, কবি আরেফা গোলদার, বিশিষ্ট গল্পকার সেখ আব্দুল মান্নান, বাংলার জনরবের সম্মানীয় সম্পাদক কলামিস্ট সেখ ইবাদুল ইসলাম, সমাজ সচেতন সাহিত্য অনুরাগী ব্যক্তিত্ব আজিজুল হক, এম এ মনু ও সাহিত্যিক সর্দার আমজাদ আলী স্বয়ং।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশ তথা রাজ্যের দিকে দিকে সংঘটিত অস্থির পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সর্দার আমজাদ আলী। সঙ্গে মুসলিমদের মধ্যে সাহিত্য চর্চা তথা সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার বিভিন্ন দিক তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন এখন সময় এসেছে আমার আমিত্বকে যুক্তিসহকারে প্রতিষ্ঠা করা। এবং অন্যের আমিত্বের প্রতিও যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা। কথাগুলি বলে তিনি একটি স্বরচিত মূল্যবান কবিতা পাঠ করে শোনান।
পাঠক মহলে জনপ্রিয় তাঁর ‘তালাশনামা’ উপন্যাস রচনার প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন ইসমাইল দরবেশ। সাহিত্যিক জারিফুল হক তাঁর বড়ো গল্প ‘খেলা হবে’ র একটা সংক্ষিপ্ত রূপ বর্ণনা করেন। একগুচ্ছ কবিতা পাঠ করেন কবি আরেফা গোলদার। লেখক তথা বাংলার জনরবের সাহিত্য সম্পাদক সেখ আব্দুল মান্নান প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের অপমৃত্যু বিষয়ক একটি কবিতা এবং মহামারী করোনা কেন্দ্রীক একটি ছোটগল্পও পাঠ করে শোনান।
সাহিত্য বিষয়ক প্রাসঙ্গিক আলোচনার পাশাপাশি এদিনের ব্যতিক্রমী বৈঠকের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন প্রাবন্ধিক সাংবাদিক সেখ ইবাদুল ইসলাম।