আর জি কর, কসবা, বা শুধু সোনারপুর কলেজ নয়— রাজ্যের সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় তৃণমূলের নারী লোভী গুন্ডাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত: শবনম মুস্তারী
বিশেষ প্রতিনিধি : সোনারপুর কলেজের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনের এক নির্মম ও লজ্জাজনক বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক প্রথম বর্ষের ছাত্রী একজন তথাকথিত ছাত্রনেতার মাথা টিপে দিচ্ছেন, তার চুল টানছেন। কিন্তু এই তথাকথিত ‘দাদা’ আসলে কলেজের ছাত্রই নন। ওই ব্যক্তি, প্রতীক কুমার দে, আসলে বারুইপুর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং বয়স ৪৪ বছর! তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কো-অর্ডিনেটর এবং রাজপুর টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।
একজন ৪৪ বছর বয়সী বহিরাগত পুরুষ, যিনি কলেজের ছাত্রই নন, তাঁকে কীভাবে একটি কলেজের ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়? কাদের আশীর্বাদে? সূত্র অনুযায়ী, তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রর ঘনিষ্ঠ বলেই তাঁর এই দাদাগিরি চলছে দিনের পর দিন।

এটা একক ঘটনা নয়। আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এর থেকেও জঘন্য ও নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটে চলেছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রীরা নিরাপদ নয়। তৃণমূলের এই সব বহিরাগত ও ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা গুন্ডা বাহিনী নারী শিক্ষার্থীদের খেলনার মতো ব্যবহার করছে। এই সব ‘দাদা’দের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারে না সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা, কারণ ক্যাম্পাসজুড়ে ভয়, হুমকি, এবং শাসকদলের সন্ত্রাস চেপে বসে আছে।
তৃণমূল সরকার নামক এই দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনব্যবস্থা এখন পুরোপুরি বিজেপির প্রতিলিপি হয়ে উঠেছে। একদিকে নেতা-মন্ত্রীদের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, মন্দির, প্রসাদ, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, অন্যদিকে বুথস্তরের মাস্তান ও কলেজের ‘দাদা’দের লাগামহীন দাপট— এই হলো বর্তমান শাসকদলের আসল চরিত্র।
এসডিপিআই দৃঢ়ভাবে মনে করে, এই ভয়াবহ শাসনব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলে একটি বিকল্প জনমুখী সরকার গঠন করা এখন সময়ের দাবি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি এই সমস্ত গুন্ডা ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের লাগাম দিতে না পারে তবে ভবিষ্যতে তৃণমূলের নামটাও উচ্চারণ হবে না।