কলকাতা 

শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দূর্নীতি হয়েছে অভিযোগ তুলে, তদন্তের দাবিতে বড় আন্দোলনের পথে কী এবার হবু শিক্ষকরা ?

শেয়ার করুন
  • 19
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : কয়েকদিন চুপচাপ থাকার পর আবার শিক্ষক নিয়োগ স্বচ্ছ এবং দ্রূত করার দাবিতে রাস্তায় নেমে মিছিল ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে ডেপুটেশন দিল সোমবার ছাত্র-যুব-অধিকার মঞ্চের সদস্যরা । স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে জানিয়ে ডেপুটেশন দিতে আসা সত্ত্বে চেয়ারম্যান দেখা করতে চাননি বলে আন্দোলনকারী অভিযোগ করেন। এরপরেই তারা অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ।

ছাত্র-যুব অধিকার মঞ্চ এদিন দাবি করেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ২০১২-২০১৮ সাল পর্যন্ত যত নিয়োগ হয়েছে তার প্রতিটি স্তরেই দূর্নীতি হয়েছে । তাই এই সব নিয়োগ বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার তারা দাবি করেন।এছাড়া ইসলামপুরের ঘটনার জন্য বিকাশ ভবন, শিক্ষামন্ত্রক ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন তারা। আজ সকালে এসএসসি-র নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবি নিয়ে আচার্য সদনের সামনে জমায়েত করেন ছাত্রযুব অধিকার মঞ্চের সদস্যরা। শুধু নিয়োগ সংক্রান্ত দাবিদাওয়াই নয়, তাঁরা ইসলামপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে নীরবতা পালন করেন।

Advertisement

আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা মহম্মদ মেহবুব মণ্ডল বলেন, “নাইন-টেনের বাংলা বিষয়ের কাউন্সেলিং বিভিন্ন মামলার জেরে আটকে রয়েছে। এইসব মামলা মিটিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সেলিং চালু করতে হবে। ওয়ার্ক এডুকেশন, ফিজিক্যাল এডুকেশনের ফলাফল দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। সেটাও দ্রুত প্রকাশের দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু দাবি রয়েছে।”

তিনি জানিয়েছেন, গেজেট মেনে নিয়োগ না করা হলে পুজোর পর আরও বড় আন্দোলন করবেন তাঁরা। আমরণ অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

মেহবুব মণ্ডল বলেন, “আজ আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে ইসলামপুর ইস্যুকে যুক্ত করেছি। কারণ, ইসলামপুরে শিক্ষক নিয়োগের দাবির উপর একটা আক্রমণ হয়েছে। সেটা আমাদের উপরই আক্রমণ বলে মনে করছি। এটাকে নিয়ে একটা নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে। আমরা এটার তীব্র বিরোধিতা করছি।”

ইসলামপুরের ঘটনার জন্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন আন্দোলনকারীরা। মেহবুব মণ্ডল বলেন, “সরকার দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ না করাই এই সমস্যাটা হল, শিক্ষাঙ্গন রক্তাক্ত হল। সরকার সাত বছর ধরে কোনও নিয়োগ করেনি। দায়ী বিকাশ ভবন, শিক্ষামন্ত্রক।”

 


শেয়ার করুন
  • 19
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

11 + three =