জীবিকার খোঁজখবর 

হতাশা কাটিয়ে নতুন করে পাওয়ার আশায় উজ্জীবিত হলেই সাফল্য নিজে থেকেই ধরা দেবে : কামাল হোসেন

শেয়ার করুন
  • 8
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

কামাল হোসেন পশ্চিমবাংলার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। অনেক গরীব পরিবারের ছেলেমেয়ে তাঁর হাত ধরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে  জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের উচ্চশিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়ের মনে আশার সঞ্চার করেছে কলেজ স্ট্রিটে তাঁর কোচিং সেন্টারেগেলে এটা স্পষ্ট হব অসংখ্য ছেলে মেয়ে কামাল হোসেনের কাছে কোচিং নেওয়ার জন্য প্রতিদিন আসছে। চাকরির পরীক্ষায় কামাল স্যারই নাকি তাদেরকে সাফল্যের মন্ত্র দেবেন। এই প্রত্যাশায় হাজার হাজারছেলেমেয়ে কোচিং নিতে আসছে তাঁর কাছে  কমখরচে আপটু ডেট কোচিং তিনি দিয়ে থাকেন বলেচাকরি প্রার্থীরা দাবি করে থাকেন। আমরা অর্থাৎ বাংলার জনরব নিউজ পোর্টালের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্ত কামাল স্যার ব্যস্ত থাকার কারণে তাঁর সঙ্গেদেখা করার সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত কয়েকদিন

আগে তাঁর কলেজ স্ট্রিটের কোচিং সেন্টারে বাংলার জনরবের প্রতিষ্ঠাতা  সাম্মানিক সম্পাদক সেখ ইবাদুল

Advertisement

ইসলামের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয়  সেইকথোপকথনই পাঠকদের জন্য ধারাবহিকভাবে তুলে ধরা হবে  কয়েক কিস্তিতে তা প্রকাশ পাবে  কামাল স্যারের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর বক্তব্যের খুব অংশই আমরা বাদ দিয়েছি মাত্র 

কত ছেলেমেয়ে আপনার কোচিং সেন্টার থেকে সাফল্য পেয়েছে ?

কামাল হোসেন : আমি তো প্রচারের জন্য পড়ায় না কিংবা কোচিং দিই না। মূলত আমি তাদেরকেই কোচিং দিয়ে থাকি যারা হতাশা গ্রস্থ হয়েছে , জীবন সম্পর্কে ধারণা পাল্টে গেছে , বেকারত্বের জ্বালায় যখন জীবনের সব আনন্দ- ভালবাসা শেষ হয়ে গেছে বলে ওরা মনে করে তখন তাদের মনে আশার সঞ্চার করাটাই আমার প্রধান লক্ষ্য । এদের মধ্যে যারা সফলতা পেয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে চাকরি করছে বা পেয়েছে সেটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় সাফল্য ।

প্রশ্ন : সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষ হয়ে আপনার কিছুটা হলেও তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা উচিত বলে আমরা মনে করি । তাই সংখ্যালঘু কোনো ছেলে-মেয়েকে সফল হতে গেলে কী করতে হবে ?

কামাল হোসেন : সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদের মৌলবী তন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে । হৃদয়ের মধ্যে সব সময় ইসলামিক কালচার এবং কুরআন হাদিসের মর্মবানী গুলি থাকবে । সেই বানী্র মতই আমাদের জীবনকে পরিচালিত করব ঠিকই কিন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে সমাজের কাছ মানিয়ে নেওয়ার জন্য আপোষ করতে হবে ।যেমন, আমার কাছে এক বোরখা পরিহিত মেয়ে বর্ধমানের এক গ্রাম থেকে এসেছিল । চাকরির পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে । ভর্তি হওয়ার সময় তার মা এবং তাকে বলেছিলাম যে , ক্লাসে যখন বসে থাকবে তখন সে মুখটুকু খুলবে । কিন্ত তাতে সে রাজি হয়নি

আমার এখানে পড়ার ব্যবস্থা হল , শিক্ষক মহাশয় প্রতিটি  বিষয়ে পড়া ধরবেন এবং তা বলতে হবে । আর ওই মেয়েটি যদি বোরখার আড়ালে মুখ ঢেকে রেখে শিক্ষক মহাশয়কে প্রশ্নে উত্তর দেন কিংবা পড়ানোর সময় সে আদৌ কোন পড়া বুঝতে পারছে কি না , সেই অভিব্যক্তি স্পষ্ট হবে না । আবার দেখা যাবে অন্য সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা বিষয়টি থেকে মজা নেবে । ইসলাম পরিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য তার সংস্কৃতিকে সাজিয়েছে । আর সেই সংস্কৃতিকে অন্যভাবে প্রয়োগ করতে গিয়ে ওই মেয়েটির আর কোচিং নেওয়া হল না। ফলে কিছু দিন পর মুসলিমরা বলবে তাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি হচ্ছে না।

প্রশ্ন : সাফল্য পেতে গেলে কী করতে হবে ?

কামাল হোসেন : স্মার্ট ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে । এই ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে শুধু মাত্র ঞ্জান-অর্জনের জন্য । এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারে স্মার্ট ফোন আছে বলেই তো কোন বিশেষ শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান বাড়তি কোন খরচ না করেই দেখতে পাওয়া যায় । উপযুক্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে নিজেকে বিকশিত করতে হবে । শিক্ষা মনস্তত্ত্বের ভাষায় হেলানো চারা হলে গাছও হেলা হয় । তবে বর্তমানে আমার আশি জন করে ব্যাচে প্রায় ২০/২৫ জন মুসলিম ছাত্রছাত্রী কোচিং নিতে আসছে , সেটা আগে ছিল ৩/৪ জন । এটার জন্য মা-মাটি-মানুষের সরকারের সাফল্যটা বেশি । কারণ এই সরকার বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রকল্প রুপায়িত করে ছেলেমেয়েদের আগ্রহ বৃদ্ধি করেছে ।


শেয়ার করুন
  • 8
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

5 × five =